Latest Post

কওমীর স্বীকৃতি ও দেবিমূর্তি বিরোধী বক্তব্য আর রাজনৈতিক স্বার্থের ভেল্কিবাজি: মুহাম্মাদ মামুনুল হক

ঢাকা ১৩ই এপ্রিল'১৭ আজকের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম দেখে মনে পড়ছে দুই হাজার ছয়ের কথা ৷ যখন হযরত শায়খুল হাদীস রহঃএর দলের...

Tuesday, March 28, 2017

নারীদের জন্য মাহরাম ব্যতীত একাকী সফর করা নিষিদ্ধঃ


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে নারী আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে জেনে রাখ! তার জন্য অনুমতি নেই যে, সে আপন স্বামী অথবা মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর সমান দূরত্বে একাকী ভ্রমণ করব্ব।” সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৩৮।
_____________________
এমনকি কোন নারী ফরয হজ্জের উদ্দেশ্যেও মক্কাতে একাকী সফর করতে পারেনাঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“কোন নারী নিজ মাহরাম সংগী ছাড়া একাকী সফর করবেনা। ”
তখন উপস্থিত এক সাহাবী আরয করলেন, “আমি তো অমুক জিহাদে যাচ্ছি। আর এদিকে আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে যাচ্ছে। (আমি কি করবো)? জিহাদে বের হবো, নাকি স্ত্রীর সাথে হজ্বের সফরে বের হব।? কারণ আমি ছাড়া তার অন্য কোন মাহরারম সঙ্গী নেই।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তুমি জিহাদে না গিয়ে তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্বের সফরে যাও।”
সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৩০০৬।
_____________________
নারীদের মাঝে অনেকেই দ্বীন শিক্ষা করেনা, মানাতো দূরের কথা, হালাল-হারাম কি সেটাই জানেনা। অথচ নবী (সাঃ) জাহান্নামে নারীরা বেশি যাবে বলে আমাদেরকে সতর্ক করেছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আমি জান্নাতের প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখলাম তার অধিকাংশ অধিবাসী দরিদ্র, আর আমি জাহান্নামের প্রতি দৃষ্টি করে দেখলাম যে তার অধিকাংশ অধিবাসী হচ্ছে নারী।” জামি তিরমিযী।
_____________________
ইসলামের কোন বিধি-বিধানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, বা হেয় মনে করা কুফুরী এবং এটা মুনাফেকের একটা লক্ষণঃ
আজকাল হরহামেশা অনেক লেখক, সাহিত্যিক ইসলাম নিয়ে তির্যক লেখা লিখেন, না জেনে বা না বুঝে এ বিষয়ে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে ডুবে যান কুফুরীর অতল সাগরে। মুসলমান নামটুকু ছাড়া তার ঈমানের আর কিছুই বাকী থাকেনা। আল্লাহ পাক এমন লোকদেরকে বলছেন,
► “(হে নবী!) আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, আমরাতো হাসি তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহকে নিয়ে এবং তার আয়াতসমূহ ও তার রাসুলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছ? তোমরা কোন অযুহাত দেখিয়ো না, তোমরা তো ঈমান আনার পরে কুফুরী করে ফেলেছো।” সুরা তওবাঃ ৬৫-৬৬।
► “তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশকে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখান কর? তোমাদের যারা এমন করে তাদের পার্থিব জগতে লাঞ্ছনা ও অবমাননা ছাড়া আর কী প্রতিদান হতে পারে? এবং ক্বিয়ামতের দিন তারা কঠিন শাস্তির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে, আর তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ্ গাফেল নন।”
সুরা আল-বাক্বারা, আয়াত নং- ৮৫।
► মুনাফেকদের প্রথম পরিচয় ছিল, তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তাদেরকে বোকা ভাবতো। আল্লাহ পাক তাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছেন, “তারাই বোকা অথচ নিজেরা তা জানে না।” সুরা আল-বাকারাহঃ ১৩।
► ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, “কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কিংবা কেউ যদি স্পষ্টভাবে এমন কোন কথা বলে যা আল্লাহ ও তার রাসূলের কোন বিধানকে তুচ্ছ করে, তা অবশ্যই কুফুরী।”
► ইমাম কুরতুবী (রহঃ) লিখেছেন, “মজা করার জন্য হোক কিংবা সত্যি সত্যিই হোক, ইসলামের কোন সাধারণ বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করা কুফুরী। এতে কারো দ্বিমত নেই।”
► ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, “দ্বীনের যে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা কুফুরী। যে এমন করল তার ঈমান ধ্বংস হয়ে কুফুরীতে পরিণত হল।”
_____________________
বিঃদ্রঃ
(১) মাহরাম কাকে বলে?
স্বামী এবং যে সমস্ত পুরুষ আত্মীয়ের সাথে বিয়ে চিরতরে হারাম তাদেরকে মাহরাম বলা হয়। যেমন বাবা, আপন ভাই, আপন চাচা, আপন মামা, নিজের ছেলে, আপন ভাই ও বোনের ছেলে, শ্বশুড়, দুধ ভাই ইত্যাদি।
(২) সফরের দূরত্ব কতটুকু?
প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় যাকে সফর হিসেবে ধরা হয়, নির্দিষ্ট দূরত্ব নেই। যেমন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা রাজশাহী। অবস্থার উপর নির্ভর করে এর চাইতে কাছের জার্নি সফর বলে গণ্য হতে পারে।

No comments:

Post a Comment