সাইয়েদ শামসুল হুদা:
দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। আবারও আসছে সেই ৫জানুয়ারী। তবে নতুন রূপে। ঐ সময় গেইমে একটু ভুল হয়ে গেছিল। তাই সেই ভুল আর নয়। এবার নির্বাচন হবে উৎসব মুখর। মোটামুটি সবগুলো ইসলামী দল হাতের মুটোয়। । ইসলামী দলগুলোর নেতৃত্বের প্রতি আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের মূল্যায়ন হলো আস্থাহীনতা তৈরী হয়েছে। মেধা, দূরদর্শিতা, সিদ্ধান্তগ্রহনে সক্ষমতা, স্বকীয়তা বজায় রাখার ব্যাপারে দৃঢ়তার যথেষ্ট অভাব আছে। ব্যতিক্রম সবসময় ছিল, এখনও আছে। কেউ মাশা আল্লাহ, অনেক যোগ্য, অনেক মেধাবী। কিন্তু সামগ্রীকভাবে যাদের হাতে দলগুলোর মূল নেতৃত্ব, যারা কোনদিকে ঝুঁকে পড়লে এরশাদের মতো পুরোটাই ঝুকে পড়ে, তাদের ব্যাপারেই আমার অনাস্থা।
তাই ইসলামী দলগুলো সুন্দর একটি নিরাপদ পথ বের করেছে। জনাব এরশাদ সাহেবের কতটুকু ক্ষমতা, তা সবারই জানা আছে। তারপরও জনাব এরশাদ সাহেবের সাথে জোট বেধে বর্তমান সরকার থেকে কয়েকটি এমপি পদ এবং মন্ত্রীত্ব নিশ্চিত করেই এগিয়ে যাচ্ছে আগামী দিনের নির্বাচনী প্লান। এরশাদ সাহেব পুরুষ মানুষ। একটি দেশের বিশেষ অনুগত মানুষ। আশির্বাদ পুষ্ট মানুষ। ৫জানুয়ারী নির্বাচনে তিনি অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে থেকে যে সুন্দর নাটকীয় সহযোগিতা করেছিলেন, প্রভুদের নির্দেশ পালন করেছিলেন সেটা পরীক্ষিত। তাই এরশাদের সামিয়ানায় যোগ দিয়ে প্রকারান্তরে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতাও করা হলো। আর দূরত্বও বজায় রাখা হলো।
এগুলো রাজনৈতিক গেম। যুগে যুগেই এগুলো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী কেয়ারটেকার ইস্যুতে আজকের আওয়ামীলীগ সরকারকে শক্তিশালী করেছে। আজ নিজেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এক সময় খেলাফত মজলিস যে কোন ভাবেই হোক আওয়ামীলীগের সাথে ৫দফার লিখিত চুক্তিভিত্তিক সহযোগিতার রাজনীতি করেছিল। পরবর্তীতে স্বভাবজাত বিষয় হিসেবে প্রয়োজন মনে না করে তা ছুঁড়ে মারা হয়। একই পদ্ধতিতে, বিকল্পরূপে ইসলামী দলগুলো বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা সরাসরি না গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জনাব এরশাদ সাহেবের সাথে একটি জোট গড়ে তোলার মতো অবস্থায় রয়েছে। এটা এখন ওপেন সিক্রেট প্রায়।
আমার বিশ্বাস, যদি ইসলামী দলগুলো বিভিন্ন হয়রানী থেকে বাঁচার লক্ষ্যেই এ কাজ করে থাকে, তাহলে কোন দলকেই সহযোগিতা না করে নিরব থাকাটাই হতো শ্রেয়। সুযোগ ও পরিবেশ আসলে, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতেন তাহলে ভালো হতো। আজকে এরশাদের সাথে তথাকথিত জোট করে নির্বাচনে গিয়ে পুর্বনির্ধারিত কৌশল মোতাবেক কয়েকটি পদ-পদবী থেকে যে বিতর্কের জন্ম দিবেন, যে কৌশলগত পরাজয় স্বেচ্ছায় বরণ করে নিবেন, এর দ্বারা সাময়িক লাভ হলেও দীর্ঘকালীন ক্ষতির সম্ভাবনা।
ইসলামী দলগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে সেটা শুরুতেই বলেছি। এ কাজটি করলে তারা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। জনগণ এটা বিশ্বাস করবে যে, আপনারা এরশাদের জোটে যাবেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নয়। কিছু পাওয়ার জন্য। নির্বাচন করে কেউ পাশ করতে পারবেন না এটা নিশ্চিত। কিন্তু মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রীর ভাষায়- একটু ট্রিকস করে নির্বাচন করলে তখন আসন নিশ্চিত। দীর্ঘমেয়াদী ফল লাভের জন্য সাময়িক ক্ষতিটুকু মেনে নিলে, নিদেনপক্ষে চুপ থাকলেও ভাল করবেন। গৃহপালিত কোন দলেরই শেষ পরিণাম সুন্দর হয়নি।
এটা আমি বিশ্বাস করি যে, জনজোয়ার এখনও বিএনপি জামাত জোটের সাথেই আছে। পরিবেশ পেলে সেটা প্রকাশের অপেক্ষায়। কিন্তু পরিবেশ না হলে ৫জানুয়ারী মার্কা নির্বাচন হলেতো কোন কথাই নেই। ইসলামী দলগুলো আশাকরি ভেবে চিন্তে আগাবেন। মানুষের হাসির খোরাক না হলে ভালো করবেন। মাননীয় এরশাদ সাহেবকে নিয়ে দেশের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত যেভাবে মূল্যায়ন করে সেটা একজন সফল মানুষের জন্য শোভনীয় নয়। আপনারা ভেবেচিন্তে পা ফেলুন। আপনাদের অনেকের প্রতি আমাদের আস্থা কমে গেলেও দেশের মানুষ আমাদেরকে আপনাদের দলেরই মনে করে। এটা বলে- হুজুররা সবই এক।
দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। আবারও আসছে সেই ৫জানুয়ারী। তবে নতুন রূপে। ঐ সময় গেইমে একটু ভুল হয়ে গেছিল। তাই সেই ভুল আর নয়। এবার নির্বাচন হবে উৎসব মুখর। মোটামুটি সবগুলো ইসলামী দল হাতের মুটোয়। । ইসলামী দলগুলোর নেতৃত্বের প্রতি আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের মূল্যায়ন হলো আস্থাহীনতা তৈরী হয়েছে। মেধা, দূরদর্শিতা, সিদ্ধান্তগ্রহনে সক্ষমতা, স্বকীয়তা বজায় রাখার ব্যাপারে দৃঢ়তার যথেষ্ট অভাব আছে। ব্যতিক্রম সবসময় ছিল, এখনও আছে। কেউ মাশা আল্লাহ, অনেক যোগ্য, অনেক মেধাবী। কিন্তু সামগ্রীকভাবে যাদের হাতে দলগুলোর মূল নেতৃত্ব, যারা কোনদিকে ঝুঁকে পড়লে এরশাদের মতো পুরোটাই ঝুকে পড়ে, তাদের ব্যাপারেই আমার অনাস্থা।
তাই ইসলামী দলগুলো সুন্দর একটি নিরাপদ পথ বের করেছে। জনাব এরশাদ সাহেবের কতটুকু ক্ষমতা, তা সবারই জানা আছে। তারপরও জনাব এরশাদ সাহেবের সাথে জোট বেধে বর্তমান সরকার থেকে কয়েকটি এমপি পদ এবং মন্ত্রীত্ব নিশ্চিত করেই এগিয়ে যাচ্ছে আগামী দিনের নির্বাচনী প্লান। এরশাদ সাহেব পুরুষ মানুষ। একটি দেশের বিশেষ অনুগত মানুষ। আশির্বাদ পুষ্ট মানুষ। ৫জানুয়ারী নির্বাচনে তিনি অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে থেকে যে সুন্দর নাটকীয় সহযোগিতা করেছিলেন, প্রভুদের নির্দেশ পালন করেছিলেন সেটা পরীক্ষিত। তাই এরশাদের সামিয়ানায় যোগ দিয়ে প্রকারান্তরে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতাও করা হলো। আর দূরত্বও বজায় রাখা হলো।
এগুলো রাজনৈতিক গেম। যুগে যুগেই এগুলো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী কেয়ারটেকার ইস্যুতে আজকের আওয়ামীলীগ সরকারকে শক্তিশালী করেছে। আজ নিজেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এক সময় খেলাফত মজলিস যে কোন ভাবেই হোক আওয়ামীলীগের সাথে ৫দফার লিখিত চুক্তিভিত্তিক সহযোগিতার রাজনীতি করেছিল। পরবর্তীতে স্বভাবজাত বিষয় হিসেবে প্রয়োজন মনে না করে তা ছুঁড়ে মারা হয়। একই পদ্ধতিতে, বিকল্পরূপে ইসলামী দলগুলো বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা সরাসরি না গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জনাব এরশাদ সাহেবের সাথে একটি জোট গড়ে তোলার মতো অবস্থায় রয়েছে। এটা এখন ওপেন সিক্রেট প্রায়।
আমার বিশ্বাস, যদি ইসলামী দলগুলো বিভিন্ন হয়রানী থেকে বাঁচার লক্ষ্যেই এ কাজ করে থাকে, তাহলে কোন দলকেই সহযোগিতা না করে নিরব থাকাটাই হতো শ্রেয়। সুযোগ ও পরিবেশ আসলে, নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতেন তাহলে ভালো হতো। আজকে এরশাদের সাথে তথাকথিত জোট করে নির্বাচনে গিয়ে পুর্বনির্ধারিত কৌশল মোতাবেক কয়েকটি পদ-পদবী থেকে যে বিতর্কের জন্ম দিবেন, যে কৌশলগত পরাজয় স্বেচ্ছায় বরণ করে নিবেন, এর দ্বারা সাময়িক লাভ হলেও দীর্ঘকালীন ক্ষতির সম্ভাবনা।
ইসলামী দলগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে সেটা শুরুতেই বলেছি। এ কাজটি করলে তারা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। জনগণ এটা বিশ্বাস করবে যে, আপনারা এরশাদের জোটে যাবেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নয়। কিছু পাওয়ার জন্য। নির্বাচন করে কেউ পাশ করতে পারবেন না এটা নিশ্চিত। কিন্তু মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রীর ভাষায়- একটু ট্রিকস করে নির্বাচন করলে তখন আসন নিশ্চিত। দীর্ঘমেয়াদী ফল লাভের জন্য সাময়িক ক্ষতিটুকু মেনে নিলে, নিদেনপক্ষে চুপ থাকলেও ভাল করবেন। গৃহপালিত কোন দলেরই শেষ পরিণাম সুন্দর হয়নি।
এটা আমি বিশ্বাস করি যে, জনজোয়ার এখনও বিএনপি জামাত জোটের সাথেই আছে। পরিবেশ পেলে সেটা প্রকাশের অপেক্ষায়। কিন্তু পরিবেশ না হলে ৫জানুয়ারী মার্কা নির্বাচন হলেতো কোন কথাই নেই। ইসলামী দলগুলো আশাকরি ভেবে চিন্তে আগাবেন। মানুষের হাসির খোরাক না হলে ভালো করবেন। মাননীয় এরশাদ সাহেবকে নিয়ে দেশের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত যেভাবে মূল্যায়ন করে সেটা একজন সফল মানুষের জন্য শোভনীয় নয়। আপনারা ভেবেচিন্তে পা ফেলুন। আপনাদের অনেকের প্রতি আমাদের আস্থা কমে গেলেও দেশের মানুষ আমাদেরকে আপনাদের দলেরই মনে করে। এটা বলে- হুজুররা সবই এক।
No comments:
Post a Comment