মুনির আহমদ:https://mobile.facebook.com/munir.ahmed.monthly.mueenul.islam?refid=12&ref=Footer
জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মতো আমাদের সকলের উচিত, “তুলে নিয়ে যাওয়া”, “রাজনৈতিক হত্যা” এবং “ক্ষমতা, স্বার্থ ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য খুনাখুনি”-এর মতো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও সমান গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও সোচ্চার প্রতিবাদ করা।
এই “তুলে নিয়ে যাওয়া” সন্ত্রাসে অনেকগুলো ক্লু, যেমন- তুলে নিয়ে যাওয়া লোকগুলোর চেহারার বর্ণনা, পোষাক ও বেশ-ভূষার বর্ণনা, কথা বলার ধরণ, গাড়ির শ্রেণী, কালার ও গাড়ির নম্বর, তুলে নিয়ে যাওয়ার গতিপথ, হ্যান্ডকাপ ইত্যাদি জানা থাকা সত্ত্বেও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারকে এসব নৃশংস অপরাধের হোতাদের ধরতে বা ঘটনা উদ্ঘাটনে তৎপর হতে একদম দেখা যায় না।
অথচ, কত কত ক্লু হীন খুনাখুনির ঘটনায় পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তড়িৎ বেগে অপরাধীদেরকে পাকড়াও করতে ও হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করতে আমরা দেখতে পাই....।
সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যদি অপরাধকে শ্রেণী বিভাজন করে, তবে কীভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করা যাবে দেশ কে??
বোমাবাজি ও চাপাতি দিয়ে মানুষ খুন করা, আর তুলে নিয়ে খুন করার মধ্যে তফাৎটা কোথায়??? একটার জন্য চিল্লাফাল্লা করে দেশ কাঁপিয়ে তুলবেন- ঠিকাছে, আমরাও প্রতিবাদ করি; কিন্তু আরেকটার দিকে ফিরেও তাকাবেন না; সেটা তো ন্যায্য হলো না।
গত পরশু ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রিয় নেতাকে চট্টগ্রামের বাসা থেকে পরিবারের সব লোকের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে একদল লোক তুলে নিয়ে হত্যা করে নদীর পাড়ে লাশ ফেলে গেল, কই আমরা তো এখনো শুনছি না, পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে, লাশের হাত বাঁধা বা চোখ বাঁধা থেকে অপরাধীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এবং সেই নেতার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া লোকজনের চেহারার বর্ণনা নিয়ে, গাড়ির নম্বর ধরে অনুসন্ধানে নেমে গাড়িটা উদ্ধার করতে এবং কারা তুলে নিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে অপরাধীর কাঠ গড়ায় তুলতে, সেটা উদ্ঘাটন করতে তো আমরা সরব কোন তৎপরতা দেখছি না। এমন শত শত ঘটনা আছে....
তো ডজনে ডজনে অপরাধকে প্রশ্রয় দিয়ে কীভাবে দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করবেন এবং দেশে শান্তি স্থাপন করবেন??!!!
আমরা সাধারণ মানুষ চাই, প্রতিটা জঙ্গী তৎপরতা, প্রতিটা অপরাধ, প্রতিটা খুনাখুনির ঘটনা, প্রতিটা তুলে নিয়ে যাওয়া বা গুম করার ঘটনা, প্রতিটা আধিপত্য প্রতিষ্ঠার হত্যা এবং প্রতিটা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বা অপরাধকে সমান গুরুত্ব দিয়ে, সমান অপরাধ বিবেচনা করে বিচার করুন, উৎখাত করুন এবং দমন করুন।।
একজন হিন্দু বা অমুসলিম অন্যায় খুনের শিকার হলে আমরা আলেমরা, সাধারণ মানুষরা, কথিত সুশীল ব্যক্তিত্বরা, সর্বোপরি আপজনতা সেটার প্রতিবাদ করি। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, একজন ভিন্ন চিন্তার বা ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শনের মানুষও যদি অন্যায়ভাবে খুন বা হেনস্থার শিকার হয়, তখন সেটারও একই রকম জোর প্রতিবাদ আসা উচিত। না হয় এ ধরণের অন্যায়-অপরাধে সকলকেই কোন না কোন সময় আক্রান্ত হতে হবে। সব সংক্ষুব্ধ পক্ষই এরকম অপরাধ ঘটাতে চাইবে স্বার্থে আঘাত লাগলে। তখন বাকীরা সবাই চুপ থাকবে.....। দেখা যাবে, তিন ইক্ষু চোরের বিচারের গল্পের মতো এক সময় সকলকেই আক্রান্ত হতে।
পরম করুণাময় আল্লাহ সকলকে সুমতি দান করুন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করুন, অপরাধীদেরকে হিদায়াত বা নিশ্চিহ্ন করুন এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। আমীন।।লেখক: হেফাজত আমীরের প্রেসসচিব
জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মতো আমাদের সকলের উচিত, “তুলে নিয়ে যাওয়া”, “রাজনৈতিক হত্যা” এবং “ক্ষমতা, স্বার্থ ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য খুনাখুনি”-এর মতো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও সমান গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও সোচ্চার প্রতিবাদ করা।
এই “তুলে নিয়ে যাওয়া” সন্ত্রাসে অনেকগুলো ক্লু, যেমন- তুলে নিয়ে যাওয়া লোকগুলোর চেহারার বর্ণনা, পোষাক ও বেশ-ভূষার বর্ণনা, কথা বলার ধরণ, গাড়ির শ্রেণী, কালার ও গাড়ির নম্বর, তুলে নিয়ে যাওয়ার গতিপথ, হ্যান্ডকাপ ইত্যাদি জানা থাকা সত্ত্বেও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারকে এসব নৃশংস অপরাধের হোতাদের ধরতে বা ঘটনা উদ্ঘাটনে তৎপর হতে একদম দেখা যায় না।
অথচ, কত কত ক্লু হীন খুনাখুনির ঘটনায় পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তড়িৎ বেগে অপরাধীদেরকে পাকড়াও করতে ও হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করতে আমরা দেখতে পাই....।
সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যদি অপরাধকে শ্রেণী বিভাজন করে, তবে কীভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করা যাবে দেশ কে??
বোমাবাজি ও চাপাতি দিয়ে মানুষ খুন করা, আর তুলে নিয়ে খুন করার মধ্যে তফাৎটা কোথায়??? একটার জন্য চিল্লাফাল্লা করে দেশ কাঁপিয়ে তুলবেন- ঠিকাছে, আমরাও প্রতিবাদ করি; কিন্তু আরেকটার দিকে ফিরেও তাকাবেন না; সেটা তো ন্যায্য হলো না।
গত পরশু ছাত্রদলের একজন কেন্দ্রিয় নেতাকে চট্টগ্রামের বাসা থেকে পরিবারের সব লোকের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে একদল লোক তুলে নিয়ে হত্যা করে নদীর পাড়ে লাশ ফেলে গেল, কই আমরা তো এখনো শুনছি না, পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট নিয়ে, লাশের হাত বাঁধা বা চোখ বাঁধা থেকে অপরাধীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এবং সেই নেতার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া লোকজনের চেহারার বর্ণনা নিয়ে, গাড়ির নম্বর ধরে অনুসন্ধানে নেমে গাড়িটা উদ্ধার করতে এবং কারা তুলে নিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে অপরাধীর কাঠ গড়ায় তুলতে, সেটা উদ্ঘাটন করতে তো আমরা সরব কোন তৎপরতা দেখছি না। এমন শত শত ঘটনা আছে....
তো ডজনে ডজনে অপরাধকে প্রশ্রয় দিয়ে কীভাবে দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করবেন এবং দেশে শান্তি স্থাপন করবেন??!!!
আমরা সাধারণ মানুষ চাই, প্রতিটা জঙ্গী তৎপরতা, প্রতিটা অপরাধ, প্রতিটা খুনাখুনির ঘটনা, প্রতিটা তুলে নিয়ে যাওয়া বা গুম করার ঘটনা, প্রতিটা আধিপত্য প্রতিষ্ঠার হত্যা এবং প্রতিটা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বা অপরাধকে সমান গুরুত্ব দিয়ে, সমান অপরাধ বিবেচনা করে বিচার করুন, উৎখাত করুন এবং দমন করুন।।
একজন হিন্দু বা অমুসলিম অন্যায় খুনের শিকার হলে আমরা আলেমরা, সাধারণ মানুষরা, কথিত সুশীল ব্যক্তিত্বরা, সর্বোপরি আপজনতা সেটার প্রতিবাদ করি। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, একজন ভিন্ন চিন্তার বা ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শনের মানুষও যদি অন্যায়ভাবে খুন বা হেনস্থার শিকার হয়, তখন সেটারও একই রকম জোর প্রতিবাদ আসা উচিত। না হয় এ ধরণের অন্যায়-অপরাধে সকলকেই কোন না কোন সময় আক্রান্ত হতে হবে। সব সংক্ষুব্ধ পক্ষই এরকম অপরাধ ঘটাতে চাইবে স্বার্থে আঘাত লাগলে। তখন বাকীরা সবাই চুপ থাকবে.....। দেখা যাবে, তিন ইক্ষু চোরের বিচারের গল্পের মতো এক সময় সকলকেই আক্রান্ত হতে।
পরম করুণাময় আল্লাহ সকলকে সুমতি দান করুন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করুন, অপরাধীদেরকে হিদায়াত বা নিশ্চিহ্ন করুন এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। আমীন।।লেখক: হেফাজত আমীরের প্রেসসচিব
No comments:
Post a Comment