Latest Post

কওমীর স্বীকৃতি ও দেবিমূর্তি বিরোধী বক্তব্য আর রাজনৈতিক স্বার্থের ভেল্কিবাজি: মুহাম্মাদ মামুনুল হক

ঢাকা ১৩ই এপ্রিল'১৭ আজকের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম দেখে মনে পড়ছে দুই হাজার ছয়ের কথা ৷ যখন হযরত শায়খুল হাদীস রহঃএর দলের...

Thursday, March 30, 2017

শারমিন উঠতি পোলাপানের সাথে বেলেল্লাপনায় জড়িয়ে পড়েছিল

মুনির আহমদ :
গতকাল দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমে একটা সংবাদ বেশ আলোচিত ছিল। সেটা ছিল, বাংলাদেশের পিরোজপুরের পনের বছর বয়সী এক কন্যা তার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিজের গর্ভধারিনী মায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি থানায় গিয়ে মামলা করে নিজের মাকে জেলে পর্যন্ত নিয়েছিলেন। আর তার সেই কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে সেটাকে অসীম বীরোচিত ও অনুকরণীয় সাহসিকতা আখ্যা দিয়ে সেই কন্যাকে আমেরিকায় উড়িয়ে নিয়ে পুরষ্কৃত করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ভিন্ন একটা সূত্রে শুনলাম, সেই মেয়েটি নাকি উঠতি পোলাপানের সাথে এত বেশি বেলেল্লাপনায় জড়িয়ে পড়েছিল যে, মা পারিবারিক মানসম্মান ও মেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়ে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
কিন্তু মায়ের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করে মাকে জেলে নেওয়ার এই ঘটনায় পরম পুলক ও গর্ব অনুভব করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন আরেক নারী লেখিকা; যিনি প্রায়ই ধর্মীয় বিষয় নিয়েও ইতিবাচক লেখা লিখে থাকেন। তার পোস্ট দেখে আমি রীতিমতো চমকে উঠেছি!!! অন্য কোন তথাকথিত প্রগতিবাশীল বা চেতনাজীবি নারী লিখলে স্বাভাবিকভাবেই নিতাম। কিন্তু তাঁর মতো ধর্মভীরু নারীও যদি এই ঘটনায় পুলক ও গর্ব অনুভব করেন, তাহলে বুঝতে কষ্ট হয় না যে, আমাদের সামাজিক পচন কতটা গভীর পর্যন্ত বিস্তার করেছে। (নীচের স্কীন শট, সেই লেখিকার আলোচ্য পোস্ট থেকে নেওয়া)।
আমি অনেক সহনশীলতা ও ধৈর্যের সাথে তিনি যাতে হজম করতে পারেন, সেইভাবে ছেটেছুটে নীচের কমেন্টটা দিলাম তার সেই পোস্টে-
“ঘটনার পুরোটাই এক তরফা বর্ণনার...। সংশ্লিষ্ট মায়ের কোন বক্তব্য নেই। কেন তিনি অল্প বয়সী কন্যাকে বিয়ে দিতে এতটা উদগ্রীব ছিলেন, সেই কারণ জানতে সংশ্লিষ্ট মায়ের বক্তব্য নেওয়ার তাগাদা অনুভব করেনি কেউ।
পশ্চিমারা বরাবরই আমাদের সুন্দর পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে দিতে চায়। সে জন্যই তারা মালালা ইউসুফ ও শারমিনদেরকে বেছে নিয়ে পুরষ্কৃত করে মাঠে নামায়।
বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বা বাধা দিতে গিয়ে সন্তান তার গর্ভধারিনী মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে মাকে জেল পর্যন্ত নেওয়া, গর্ব করা বা উল্লসিত হওয়ার মতো সংবাদ হতে পারে না।
এসব পুরষ্কারের পেছনে অবশ্যই পশ্চিমাদের আমাদের পরিবারিক ও সামাজিক কাঠামো ভেঙে অবাধ যৌনতা ছড়িয়ে দিয়ে কর্পোরেট বাণিজ্য প্রসারের গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে; এটা বুঝতে বেগ পেতে হয় না।
মাকে জেলে নিয়ে সন্তান পুরষ্কার নিচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে গর্ভধারিণী সেই মা এবং অন্যসকল মায়েদের সুখকর অনুভূতি হওয়ার কথা নয়। পুরুষ হয়েও মায়েদের এমন অপমান আমাদেরকে আঘাত করে।
আপনি গর্বিত হতে পারেন, কিন্তু পুরো ঘটনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমার মতো আরো অনেকেই লজ্জিত,মর্মাহত ও ক্রুদ্ধ।”
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক মুঈনুল ইসলাম

No comments:

Post a Comment