২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার পরে অনুষ্ঠান চলতে থাকে, সেখানে কবি আব্দুস সালাম একটি ঘোষণা পাঠ করেন। দেখুন তিনি কী বলেছিলেন সেই ঘোষণাতে। এটাকে বলা যেতে পারে, ২৬শে মার্চের পাল্টা যুদ্ধ ঘোষনার পরে বেতারের প্রথম বেসামরিক ঘোষনা।
“নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লীয়ালা রাসুলিহীল কারিম”
আসসালামু আলায়কুম,
প্রিয় বাংলার বীর জননীর বিপ্লবী সন্তানেরা। স্বাধীনতাহীন জীবনকে ইসলাম ধিক্কার দিয়েছে। আমরা আজ শোষক প্রভুতুলোভীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি। এ গৌরবোজ্জ্বল স্বাধিকার আদায়ের যুদ্ধে, স্বাধীনতার যুদ্ধে, আমাদের ভবিষ্যৎ জাতির মুক্তিযুদ্ধে মরণকে বরণ করে যে জানমাল কোরবানী দিচ্ছি, কোরআনে করিমের ঘোষণা-তারা মৃত নহে, অমর।
দেশবাসী ভাইবোনেরা, আজ আমরা বাংলার স্বাধীনতার সংগ্রাম করছি।
আল্লার ফজল করমে বাংলার আপামর নরনারী আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করে চলেছেন। আর সবখানে আমাদের কর্তৃত্ব চলছে। আমরা যারা সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছি- তাঁদের আপনারা সকল প্রকার সহযোগিতা দিন। এমন কি খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও সহাযতা দিন। স্মরণ রাখবেন দুশমনরা মরণকামড় দিয়েছে। তাদের এ সোনার বাংলাকে সহজে তাদের শোষণ থেকে মুক্তি দিতে চাইছে না। কোন অবাঙালী সৈনিকের কাজেই সাহায্য করবেন না।
মরণ তো মানুষের একবার। বীর বাংলার বীর সন্তানেরা শৃগাল-কুকুরের মতো মরতে জানে না। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী।
কোন গুজবে কান দেবেন না। খালি হাতে কয়েকজন মিলে কোন পশ্চিমা মিলিটারীর মোকাবেলা করবেন না। ওরা আমাদের দেশে এসে আমাদের খেয়েই শক্তি যুগিয়ে আমাদের নির্বিচারে হত্যা করবে- তা হতে পারে না। দশজনে হলেও একজনকে খতম করুন। সমস্ত প্রকার অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। যারা নিরস্ত্র তারা অন্তত সোডার বোতল, বাজি প্রস্তুতকারীরা মরিচের গুড়ার ঠোঙ্গা বানায়ে ওদের প্রতি নিক্ষেপ করলে টিয়ার গ্যাসের কাজ করবে। বিজলী বাতির বাল্বে এসিড ভরে তাও নিক্ষেপ করুন। একেবারে খালি হাতে থাকবেন না। মরবেন তো মেরেই ইতিহাস সৃষ্টি করুন।
“নাছরুম মিনাল্লাহে ওয়া ফাতহুন কারিব” । আল্লাহর সাহায্য ও জয় নিকটবর্তী।।
তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড), পৃষ্ঠা ১১
লিংকঃ
https://bn.m.wikisource.org/wiki/পাতা:বাংলাদেশের_স্বাধীনতা_যুদ্ধ_দলিলপত্র_(পঞ্চম_খণ্ড).pdf/৩৫
“নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লীয়ালা রাসুলিহীল কারিম”
আসসালামু আলায়কুম,
প্রিয় বাংলার বীর জননীর বিপ্লবী সন্তানেরা। স্বাধীনতাহীন জীবনকে ইসলাম ধিক্কার দিয়েছে। আমরা আজ শোষক প্রভুতুলোভীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি। এ গৌরবোজ্জ্বল স্বাধিকার আদায়ের যুদ্ধে, স্বাধীনতার যুদ্ধে, আমাদের ভবিষ্যৎ জাতির মুক্তিযুদ্ধে মরণকে বরণ করে যে জানমাল কোরবানী দিচ্ছি, কোরআনে করিমের ঘোষণা-তারা মৃত নহে, অমর।
দেশবাসী ভাইবোনেরা, আজ আমরা বাংলার স্বাধীনতার সংগ্রাম করছি।
আল্লার ফজল করমে বাংলার আপামর নরনারী আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করে চলেছেন। আর সবখানে আমাদের কর্তৃত্ব চলছে। আমরা যারা সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছি- তাঁদের আপনারা সকল প্রকার সহযোগিতা দিন। এমন কি খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও সহাযতা দিন। স্মরণ রাখবেন দুশমনরা মরণকামড় দিয়েছে। তাদের এ সোনার বাংলাকে সহজে তাদের শোষণ থেকে মুক্তি দিতে চাইছে না। কোন অবাঙালী সৈনিকের কাজেই সাহায্য করবেন না।
মরণ তো মানুষের একবার। বীর বাংলার বীর সন্তানেরা শৃগাল-কুকুরের মতো মরতে জানে না। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী।
কোন গুজবে কান দেবেন না। খালি হাতে কয়েকজন মিলে কোন পশ্চিমা মিলিটারীর মোকাবেলা করবেন না। ওরা আমাদের দেশে এসে আমাদের খেয়েই শক্তি যুগিয়ে আমাদের নির্বিচারে হত্যা করবে- তা হতে পারে না। দশজনে হলেও একজনকে খতম করুন। সমস্ত প্রকার অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। যারা নিরস্ত্র তারা অন্তত সোডার বোতল, বাজি প্রস্তুতকারীরা মরিচের গুড়ার ঠোঙ্গা বানায়ে ওদের প্রতি নিক্ষেপ করলে টিয়ার গ্যাসের কাজ করবে। বিজলী বাতির বাল্বে এসিড ভরে তাও নিক্ষেপ করুন। একেবারে খালি হাতে থাকবেন না। মরবেন তো মেরেই ইতিহাস সৃষ্টি করুন।
“নাছরুম মিনাল্লাহে ওয়া ফাতহুন কারিব” । আল্লাহর সাহায্য ও জয় নিকটবর্তী।।
তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (পঞ্চম খণ্ড), পৃষ্ঠা ১১
লিংকঃ
https://bn.m.wikisource.org/wiki/পাতা:বাংলাদেশের_স্বাধীনতা_যুদ্ধ_দলিলপত্র_(পঞ্চম_খণ্ড).pdf/৩৫
No comments:
Post a Comment