মুহাম্মদ আরিফ বিন ইবরাহীম
সালামঃইসলাম শান্তি উন্নতি ও কল্যাণ কামনার ধর্ম। প্রেম-প্রীতি ভালবাসা ও সৌহার্দের ধর্ম। তাই ইসলাম পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতকালে শান্তি ও কল্যাণ কামনার্থে এবং প্রেম-প্রীতি, ভালবাসা ও সৌহার্দতা প্রকাশার্থে পরস্পরের মধ্যে সালাম বিনিময় করতে শিক্ষা দিয়েছে। শিক্ষা দিয়েছে একে অপরকে ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্’ বলতে এবং জবাবে ‘ওয়া আলাইকুমুস্ সালাম’ বলে স্বাগত জানাতে।
বলা বাহুল্য, সালাম আদান-প্রদানের বাক্য যদিও সংক্ষিপ্ত তথাপি ব্যাপক অর্থবহ। কেননা, এতে ভালবাসা প্রকাশের সাথে সাথে এ দোয়াও করা হয় যে, তোমাদের প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। অর্থাৎ সালাম প্রদানের মাধ্যমে অপরের জন্য এ দোয়াই করা হয় যে, সকাল-সন্ধ্যা নির্বিশেষে সর্বক্ষণ, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে এবং আর্থিক ও মানসিক ক্ষেত্রে তথা জীবনে-মরণে সর্বকালে, সর্বক্ষেত্রে, সর্বাবস্থায় তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমরা সর্বপ্রকার বিপদাপদ ও বালা-মুসীবত থেকে নিরাপদ থাক। অধিকন্তু সালাম প্রদানের মাধ্যমে অপরের জন্য আল্লাহর শান্তি ও রহমত কামনা করায় আল্লাহর প্রতি সকলের মুখাপেক্ষিতাও প্রকাশ পায়। এতে করে আল্লাহর যিক্র হয় এবং পরস্পরেও আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সালামে অগ্রগামী ব্যক্তি অহ্মিকা ও আত্মম্ভরিতা থেকে মুক্তি পায় এবং নিজেকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে শিখে। তাছাড়া সালাম আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের সর্বাধিক মঙ্গল কামনা করে। এতে পরস্পরে যেন একথাও স্বীকার করে যে, আমি কখনোও তোমাদের কোন প্রকারের অনিষ্ট করব না। তোমরা আমার সর্বাঙ্গ থেকে ¯সম্পূর্ণ নিরাপদ। আর এটিই তো একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয়।
হাদীসে ইরশাদ হচ্ছে- সেই ব্যক্তি প্রকৃত মুসলমান, যার মুখ ও হাত থেকে সকল মুসলমান নিরাপদ। (তিরমিযী, নাসায়ী)।
পক্ষান্তরে, আদাব, গুডমর্ণিং, গুড ইভিনিং, গুড নাইট বা সুপ্রভাত, শুভ সন্ধ্যা, শুভ রাত্রি ইত্যাদি বাক্য ব্যাপক অর্থবহ নয়। বরং কাল সম্পৃক্ত এবং আংশিক ও পরিমিত অর্থপর্ণ। গুড নাইট বললে রাত্রিকালের কল্যাণ, গুড মর্ণিং বললে শুধু প্রাতঃকালীন কল্যাণ এবং গুড ইভিনিং বললে কেবল সন্ধ্যাকালীন কল্যাণই কামনা করা হয়। দিবানিশির বাকী অংশগুলো বাদ পড়ে যায়।
মোদ্দা কথা, ইসলামী সালামে একাধারে পরস্পরের হৃদ্যতা ও দয়ার্দ্রতা অভিব্যক্ত হয়, অপরের জন্য ইহ-পরকালীন সমহ কল্যাণ কামনা করা হয় এবং অনিষ্ট না করার প্রতিশ্রুতিও জ্ঞাপন করা হয়। তাছাড়া অহমিকা ও আত্মম্ভরিতা পদদলিত হয়। সর্বোপরি পরস্পরের আল্লাহর যিক্র হয় এবং আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সত্য বলতে কি, পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতের সময় ইসলামী বিধান যে সালামের আচার শিখিয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোন বিধানে এর তুলনা হতে পারে না।
সালামের রীতিঃ
এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, সালাম হল কথা-বার্তার আগে। অর্থাৎ কেবল তা-ই সালাম যা পরস্পর সাক্ষাত কালে বাক্যালাপের আগে বলা হয়। দু’একটি কথা বলার পর সালাম করলে তা আর সালাম থাকে না। এ ধরনের সালামের জবাবও দিতে হয় না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে সালাম প্রদানের পূর্বে কথা বলে তার সালামের জবাব দিয়ো না।
কাজেই পরস্পর সাক্ষাতকালে উচিত হল, সর্বপ্রকার কথাবার্তা পিছনে রেখে প্রথমে সালাম করা, তারপর কথা বলা- এটাই ইসলামের রীতি। সালাম প্রদানের ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে- ‘আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলা এবং এর প্রতিউত্তরে ‘ওয়া আলাই কুমুস্ সালাম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ’ বলা। আর সালামকারী ব্যক্তি যদি ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বলে, তবে উত্তম হল এর জবাবে ‘ওয়া আলাই কুমুস্ সালাম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলা। এর চেয়ে অতিরিক্ত বলা ঠিক নয়। (ফাত্ওয়ায়ে আলমগিরিয়্যাহ্- ৫/৩২৫ পৃষ্ঠা)।
সালাম আদান-প্রদান প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে আরও বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। একটি হাদীসে বলা হয়েছে- যানবাহনে আরোহী ব্যক্তি পদযাত্রীকে, পদযাত্রী উপবিষ্ট ব্যক্তিকে এবং স্বল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে সালাম করবে। অন্য বর্ণনায় আছে, কনিষ্ঠ বয়োঃজ্যেষ্ঠকে সালাম করবে। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)।
উল্লেখ্য, সালাম দেওয়া সার্বজনীন কাজ। আরোহী ব্যক্তি পথচারীকে, পথচারী উপবিষ্টকে এবং স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তি অধিক সংখ্যক ব্যক্তিকে সালাম করবে। প্রতিপক্ষের কেউ তাদেরকে সালাম করতে পারবে না এমন কোন বাধ্যকতা নেই।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই ছোটদের সালাম করেছেন বলে হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে। হযরত আনাস (রাযি.) বলেন, একদা আমি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। তিনি বালকদের পাশ দিয়ে অতিক্রম কালে তাদেরকে সালাম করেছেন। (তিরমিযী শরীফ)।
বস্তুতঃ সালাম দেওয়া সকল মুসলমানদের কাজ। কে আগে সালাম করবে এ বিষয়টি গৌণ। এতে কারো প্রতি কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিষয়টি অনর্থক নয়, বরং তাৎপর্যপর্ণ ও লাভজনক বটে। যদি এক সাথে একাধিক লোক থাকে, তবে সকলকে সালাম করতে হবে না। তাদের যে কোন একজন সালাম করলে সকলের পক্ষ থেকে সালাম করা হয়ে যাবে। ঠিক অনুরূপ প্রতিপক্ষের সকলের জন্য জবাব দেওয়াও ওয়াজিব হবে না। তাদের যে কোন একজন জবাব দিলে সকলের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অতিক্রমকালে দলের কোন একজন সালাম দিলে দলের পক্ষে যথেষ্ট হবে এবং উপবিষ্টদের কোন একজন জবাব দিলে সকলের পক্ষে যথেষ্ট হবে। (আবুদাঊদ শরীফ)।
অমুসলমানকে সালাম দেওয়া বৈধ নয়। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা ইহুদী এবং নাসারাকে আগে সালাম করবে না। (বুখারী শরীফ)। তবে যদি কোন অমুসলমান কোন মুসলমানকে আগে সালাম দেয় তবে জবাবে শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে। (ফাতওয়ায়ে শামী- ৬/৪১৩)।
বস্তুতঃ সালামের জবাব দেওয়া যেমন ওয়াজিব তেমনি শুনিয়ে দেওয়াও ওয়াজিব। তাই মুখে উচ্চারণ করে সালামের জবাব দিতে হবে। এবং এতটুকু আওয়ায হতে হবে যাতে সালামকারী তার জবাব শুনতে পান। নতুবা জবাব দাতার দায়িত্ব আদায় হবে না। সালাম দাতা যদি বধির হন কিংবা দরে থাকেন আর শোনানো সম্ভব না হয়, তবে জবাব মুখে উচ্চারণ করে সেই সাথে ইশারা দিয়ে তাকে তা বুঝিয়ে দিতে হবে। (ফাতওয়ায়ে শামী-৬/৪১৩, ৪১৪, আলমগিরিয়্যাহ্-৫/৩২৬)।
হাত তোলাঃ
সালাম আদান-প্রদাকালে হাত উঠানোর কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই। এটি সম্পূর্ণ বিজাতীয় কাজ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ইহুদী-নাসারাদের বেশ ধারণ করো না। ইহুদীদের সালাম হল আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা। এবং নাসারাদের সালাম হল হাতের তালু দিয়ে ইশারা করা। (তিরমিযী শরীফ)। তাই হাত না তুলে কেবল মুখ দ্বারাই সালাম করতে হবে। তবে বধির কিংবা দরত্বের কারণে শোনানো সম্ভব না হলে তাকে সালাম দেওয়া হচ্ছে একথা বোঝানোর লক্ষ্যে সালাম বা সালামের জবাব মুখে উচ্চারণ করে সেই সাথে ইশারা করলে তাতে অসুবিধা হবে না।
মসজিদে প্রবেশকালে সালামঃ
মসজিদে অবস্থানরত লোকজন যদি নামায, যিক্র, তা’লীম ইত্যাদিতে মশগুল না থাকে, তাহলে মসজিদে প্রবেশ কালে সালাম করা উচিত। কিন্তু উপরোক্ত কোন কাজে মশগুল থাকলে কিংবা মসজিদে কোন লোক না থাকলে নিয়ম হল, ‘আস্সালামু আলাইনা র্মি রাব্বিনা ওয়া আলা ইবা দিল্লা হিস্সা লিহীন’ বলা। তবে যদি কিছু সংখ্যক লোক নামায, যিক্র ইত্যাদিতে মশগুল থাকে আর কিছু সংখ্যক অবসর থাকে, তাহলে অবসর লোকদের সালাম দেওয়ার দ্বারা যদি নামায বা যিক্ররত লোকদের অসুবিধা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে তাহলে সালাম করা অনুচিত। এক্ষেত্রে অধিক সতর্কতামলক এবং ইবাদতরত ব্যক্তির ইবাদতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশার্থে সালাম না করাই ভাল।
মুসাফাহাঃ
স্বাভাবিক সাক্ষাতের সময় সালাম এবং কিছু কাল বিলম্বে সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমাদের পরস্পরে যে সালাম করা হয়, তার পরিপরক হল মুসাফাহা বা করমর্দন। (তিরমিযী, আহমদ)।
মুআনাক্বাহ্ঃ
কারো সাথে দীর্ঘ দিন পর সাক্ষাত হলে মুআনাক্বাহ্ করা সুন্নাত। যার নিয়ম হল, একে অপরের সাথে স্বীয় গর্দান ও বুক একবার মিলানো। প্রত্যেকেই নিজের ডান দিক মিলাবে। অনেকে তিনবার বুক মিলিয়ে মুআনাক্বাহ্ করে থাকেন। অথচ তিনবার মিলানোর কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই। বরং মুসাফাহার ন্যায় মুআনাক্বাহও একবার হওয়া নিয়ম। (ফাতওয়ায়ে মাহ্মদিয়্যাহ্-৫/১৭২)।
হস্ত চুম্বনঃ
মুসাফাহার পর কোন কোন লোককে হস্ত চুম্বন করতে দেখা যায়। অথচ এর কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই। উলামায়ে কিরাম এটাকে মাকরূহে তাহ্রীমী আখ্যা দিয়েছেন। বিধায় এটি থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। (দুররে মুখ্তার-৬/৩৮৩)।
অন্যের গৃহে প্রবেশকালে অনুমতি গ্রহণঃ
কারো গৃহে প্রবেশ করতে হলে নিয়ম হল, প্রবেশকালে তার অনুমতি চেয়ে নেওয়া। অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করা অনুচিত। ইসলাম ধর্মে অনুমতি গ্রহণের গুরুত্ব অপরিসীম। কুরআন-হাদীসে এর বিধি-বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এতদসত্ত্বেও এ ব্যাপারে সকলেই একেবারে উদাসীন। অথচ আল্লাহ্ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন- হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। (সূরা নূর)।
অনুমতির রহস্য ও উপকারিতাঃ
অন্যের ঘরে প্রবেশকালে অনুমতি গ্রহণের মধ্যে বিভিন্ন রহস্য ও উপকারিতা রয়েছে। যেমন (ক) মানুষের স্বাধীনতায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা ও তাকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। কেননা, বিনা অনুমতিতে কারও গৃহে প্রবেশ করা হচ্ছে তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। তাকে অহেতুক কষ্ট দেওয়া। যা শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম। (খ) দ্বিতীয় উপকারিতা হচ্ছে, সাক্ষাত প্রার্থীর। সে যখন অনুমতি নিয়ে ভদ্রজনোচিতভাবে সাক্ষাত করবে, তখন প্রতিপক্ষ তার বক্তব্য যত্ন সহকারে শুনবে। তার কোন প্রয়োজন থাকলে সহযোগিতা করার প্রেরণা অন্তরে সৃষ্টি হবে। পক্ষান্তরে কারও উপর বিনা অনুমতিতে চড়াও হয়ে গেলে সে তাকে আকস্মিক বিপদ মনে করে যত শীঘ্র সম্ভব বিদায় করে দিতে চেষ্টা করবে এবং হীতাকাখার প্রেরণা থাকলেও তা নিস্তেজ হয়ে যাবে। (গ) তৃতীয় উপকারিতা হচ্ছে নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা দমন। কারণ বিনা অনুমতিতে কারও গৃহে প্রবেশ করলে গাইরে মাহ্রাম নারীর উপর দৃষ্টি পড়া এবং অন্তরে কোন রোগ সৃষ্টি হওয়া আশ্চর্য নয়। এদিকে লক্ষ্য করেই তো অন্যের ঘরে প্রবেশকালে অনুমতি গ্রহণের বিধান কুরআনে ব্যভিচার, অপবাদ ইত্যাদি নির্লজ্জতার শাস্তির বিধানের সংলগ্নে বর্ণিত হয়েছে। (ঘ) মানুষ কখনো কখনো নিজ গৃহের নির্জনতায় এমন কাজ করে, যার গোপনীয়তা রক্ষা করা সে জরুরী মনে করে এবং অপরকে অবহিত করা লজ্জাকর ও অসমীচীন মনে করে। সুতরাং কেউ যদি অনুমতি ব্যতিরেকে সহসা অন্যের ঘরে ঢুকে পড়ে, তবে সে সেই গোপন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে যাবে। আর কারও গোপন বিষয় বলপ্রয়োগে জানা গুনাহ্। এমনকি জানার চেষ্টা করাও গুনাহ্ এবং অপরের মর্মবেদনা ও মনঃক্ষুণ্নের কারণ। মোটকথা কারও গৃহে প্রবেশ কালে অনুমতি গ্রহণ শরীয়তের এক গুরুত্বপর্ণ বিধান। তাই এ ব্যাপারে পর্ণ যত্নবান হওয়া সকলের প্রয়োজন।
সুন্নাত তরীকাঃ কারও গৃহে প্রবেশের জন্য অনুমতি গ্রহণের সুন্নাত তরীকা হচ্ছে, দরজায় দাঁড়িয়ে সালাম করতঃ নিজের নাম উল্লেখ করে অনুমতি চাওয়া। এভাবে বলা, আস্সালামু আলাইকুম, আমি অমুক, আমি ভিতরে আসতে চাই। গৃহে বিদ্যমান ব্যক্তি যদি শুধু গলার স্বর দ্বারা প্রবেশিচ্ছুক ব্যক্তিকে চিনে নেওয়ার মত হয়, তাহলে নাম উল্লেখ না করলেও চলবে। তবে প্রথমে অবশ্যই সালাম করতে হবে। ইমাম বুখারী (রাহ্.) আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে হযরত আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে ব্যক্তি সালাম না করেই অনুমতি চায় তাকে অনুমতি দিয়ো না। কারণ সে মাসনন তরীকা ছেড়ে দিয়েছে। (রূহুল মাআনী)।
হযরত জাবির (রাযি.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রথমে সালাম করে না তাকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ো না। (বাইহাক্বী)। #
No comments:
Post a Comment