Latest Post

কওমীর স্বীকৃতি ও দেবিমূর্তি বিরোধী বক্তব্য আর রাজনৈতিক স্বার্থের ভেল্কিবাজি: মুহাম্মাদ মামুনুল হক

ঢাকা ১৩ই এপ্রিল'১৭ আজকের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম দেখে মনে পড়ছে দুই হাজার ছয়ের কথা ৷ যখন হযরত শায়খুল হাদীস রহঃএর দলের...

Sunday, February 26, 2017

আদর্শ সন্তান ও অভিভাবকের ভূমিকা

আরিফ মাহমুদ হাবিবী

একটি সন্তান পৃথিবীতে আসে মা-বাবার ঘর আলোকিত করে। কত আদর, কত স্নেহ সন্তানের জন্য! আশায় বুক বাঁধে মা-বাবা। সন্তান বড় হবে, ভালো হবে, আদর্শ সন্তান হবে, দেশ ও দশের সুনাম কুড়াবে। কিন্তু ক’জনই বা নিজেদের সন্তানদের মানুষ করে গড়ে তুলতে পারেন? নানা সমস্যার যাঁতাকলে পড়ে তা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। হয়তো মা-বাবার শিক্ষার অভাব, আর্থিক দৈন্য-দশা, কিংবা পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সন্তানের ভবিষ্যত সুন্দর করার জন্য প্রত্যেক মা-বাবাই চেষ্টার কমতি করেন না। সন্তানকে আদর্শবান করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মা-বাবার সচেতনতাই মূখ্য। যে সন্তান পরিবার-সমাজের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, অসৎ পথে পরিচালিত হয় সে ধরনের সন্তান কেউ আশা করে না। সন্তানের পড়ালেখা চরিত্রগঠন, বন্ধু-বান্ধবদের সংশ্রব ইত্যাকার সব বিষয়ে পিতা-মাতার সচেতনতা প্রয়োজন। সন্তানের বেড়ে ওঠার প্রতিটি ক্ষণের খবরা-খবর মা-বাবা ও অভিভাবককে রাখতে হবে। অনেক সময় বিত্তবান লোকের সন্তান সন্ততি মা-বাবার অসচেতনতার কারণে বিপথে পা বাড়ায়, বেপরোয়া হয়ে উঠে।
ভালো সন্তান, আদর্শ সন্তান আজ পরিবার ও সমাজের যেমন সম্পদ তেমনি গোটা দেশেরই সম্পদ। দেশের উন্নয়নের জন্য আদর্শবান সন্তান তৈরির দায়িত্ব যেমনি মা-বাবার তেমনি সমাজের সর্বোপরি রাষ্ট্রের।
যুগের যে হাওয়া এখন বইছে তাতে প্রত্যেক মা, বাবা ও অভিভাবক সদা শংকিত তটস্থ। এ হাওয়া থেকে সন্তান কীভাবে বাঁচবে তা নিয়ে ভাবে সর্বক্ষণ। যে সব কারণে সন্তানেরা বখাটে হয়, বিপথে পা বাড়ায় সে সব কারণ চিহ্নিত করে তার সমাধান বের করতে হবে। কেননা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ওরা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, কলুষিত করবে গোটা পরিবেশ।
সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে তাকে সর্বাগ্রে ইসলামি তথা ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে হবে। হাইস্কুল, কলেজ পদার্পণের সময় সন্তানের সহপাঠী, তাদের আচার-আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতে হবে। ক্লাস টাইমের বাইরে সে আর কোথায় যায়, কী করে, কাদের সাথে মেলামেশা করে ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। কোনো অনৈতিক ও অনিয়ম কিছু দেখা দিলে তা সংশোধনের জন্য সব রকমের চেষ্টা করতে হবে, বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে।
সন্তান ভালো হলে মা-বাবা, অভিভাবকের সম্মান। সে সন্তানের কদর বাড়ে। সবাই তার আদর্শ অনুসরণ করতে চায়। সব মা-বাবাই তার সন্তানটিকে অন্য আরেকটি ভালো সন্তানের পাশে দেখতে চায়। যাতে তার সন্তানটিও আদর্শবান হয়, ভদ্র হয়, নম্র হয়। সন্তান যখন নাম করে তখন মা-বাবার গর্বে বুক ফুলে ওঠে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করে। কারণ ভালো সন্তান অন্য সব সন্তানের জন্য আদর্শ। সমাজ ও দেশের সে আশা-ভরসার প্রতীক। সর্বোপরি ভালো সন্তান, আদর্শ সন্তান সবার গর্ব। তাই অভিভাবকদের প্রতি আবেদন আদর্শ সন্তান গড়ে তোলার জন্য যথোচিত ভূমিকা পালন করুন।

No comments:

Post a Comment