Latest Post

কওমীর স্বীকৃতি ও দেবিমূর্তি বিরোধী বক্তব্য আর রাজনৈতিক স্বার্থের ভেল্কিবাজি: মুহাম্মাদ মামুনুল হক

ঢাকা ১৩ই এপ্রিল'১৭ আজকের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম দেখে মনে পড়ছে দুই হাজার ছয়ের কথা ৷ যখন হযরত শায়খুল হাদীস রহঃএর দলের...

Friday, February 24, 2017

চোখ লাল হলে

ডা: রশিদ হায়দার

স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের চোখ সাদা। চোখের ৫০ শতাংশ অসুখ এ চোখে হয়। বাকি ৫০ শতাংশ অসুখ এ চোখে হয়। বাকি ৫০ শতাংশ হয় লাল চোখে। সাধারণ ভাষায় একে ‘চোখ ওঠা’ বলে। এটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ, যা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীদের মধ্যে মহামারী রূপ ধারণ করেছিল। তবে লাল চোখকে অবহেলা করা ঠিক নয়। কারণ এ থেকে অন্ধও হয়ে যেতে পারে। চোখ লাল হওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার সুবিধার্থে চারটি জিনিস খতিয়ে দেখা দরকার।
১. চোখে ব্যথা ২. দৃষ্টিহানি ৩. কেতর বা পিচুটি ৪. নাকি তিনটির একটিও নেই, শুধুই চোখ লাল। চোখের সামনে স্বচ্ছ ও পাতলা পর্দা যাকে কনজাংটিভা বলে, সেখানে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ হলে তাকে ‘চোখ ওঠা’ বলে। চোখ উঠলে চোখে প্রচুর কেতর বা পিচুটি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তিন-চার দিন চোখের এন্টিবায়োটিক ড্রপ দিলেই সেরে যায়। ব্যাকটেরিয়ার জন্য চোখে প্রচুর কেতর জন্মে। তবে লাল চোখে যদি ব্যথা থাকে ও দৃষ্টি কমে যায় তবে চোখের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এমন হলে প্রথমে যে অসুখটির কথা আসে তা হচ্ছে গ্লুকোজ। চোখের উচ্চ চাপের জন্য এমনটি হয়।
এ ছাড়া কর্নিয়া ও আইরিসে প্রদাহের কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ড্রপ দিলে চোখ সারে না। ঠিকমতো চিকিৎসা না করালে দৃষ্টিহানি অবশ্যম্ভাবী।

লেখক : চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও এমবি লেজারভিশন
m.dailynayadiganta.com/?/detail/news/176718

No comments:

Post a Comment