Latest Post

কওমীর স্বীকৃতি ও দেবিমূর্তি বিরোধী বক্তব্য আর রাজনৈতিক স্বার্থের ভেল্কিবাজি: মুহাম্মাদ মামুনুল হক

ঢাকা ১৩ই এপ্রিল'১৭ আজকের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম দেখে মনে পড়ছে দুই হাজার ছয়ের কথা ৷ যখন হযরত শায়খুল হাদীস রহঃএর দলের...

Sunday, February 26, 2017

হোয়াইট হাউজে ঢুকতে দেয়া হয়নি সিএনএন নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ অনেক মিডিয়াকে

হোয়াইট হাউজে প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হলেন শীর্ষ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকেরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধান কয়েকটি মার্কিন সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করতে দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। এ ছাড়া শুক্রবার কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) আবারো গণমাধ্যমকে গণশত্রু আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প।
পলিটিকোর খবর অনুযায়ী, শুক্রবার ছিল হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারের সংবাদ সম্মেলন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ‘কিউ’ ও ‘এ’ সেশনের মতো ব্রিফিংয়ের চেয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন ছিল অপেক্ষাকৃত কম আনুষ্ঠানিক। সেই সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতেই দেয়া হয়নি সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, পলিটিকো, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ও বাজফিডের সাংবাদিকদের। যারা ভেতরে গিয়েছিলেন, ছবি তোলার বা ভিডিও করারও অনুমতি পাননি তারা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে রীতিমতো তুলোধুনা করা হয় শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলোকে।
অবশ্য রয়টার্স, ব্লুমবার্গ ও সিবিএসের মতো আরো ১০টি প্রতিষ্ঠান বিনা বাধায় সংবাদ সংগ্রহ করতে পেরেছে। তবে ঠিক কী কারণে হোয়াইট হাউজ শীর্ষ মাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নিলো তা খোলাসা করেননি প্রেস সেক্রেটারি। শন স্পাইসার বলেন, ‘আমরা সঠিকভাবে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে পারছি কি না সেটাই আমাদের কাজ। আমরা আপনাদের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত করতে চাই; তাই বলে এই নয় যে প্রতিবারই ক্যামেরার সামনে সব বলতে হবে।’ পরে এক বিবৃতিতে ওই সংবাদমাধ্যমগুলোকে বাধা দেয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, যেহেতু হোয়াইট হাউজের পুল রয়েছে, সেহেতু তারা অন্যদের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং আমাদের কাছ থেকে সব তথ্য পাবে। সাধারণত একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ও একটি প্রিন্ট আউটলেট থেকে একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে পুল গঠিত হয়। এই পুলের অংশ হিসেবে এনবিসি, এবিসি, সিবিএস ও ফক্স নিউজকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও গ্যাগেলে বাধা দেয়া হয় সিএনএনকে। ঠিক একইভাবে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বাধা দেয়া হলেও সেই ব্রিফিংয়ে ঢুকতে দেয়া হয় ব্রেইবার্ট নিউজ, দ্য ওয়াশিংটন টাইমস এবং ওয়ান আমেরিকা নিউজ নেটওয়ার্ক নামে সংবাদমাধ্যমগুলোকে।
ক্যামেরা বন্ধ রেখে সংবাদ সম্মেলনের এই ধারণা নতুন কিছু নয়। তবে হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে সব সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ এবং প্রশ্ন করার রীতি অনেক পুরনো। হোয়াইট হাউজের এমন ‘কাণ্ডে’ সুবিধাবঞ্চিত কয়েকটি সংবাদ সংস্থা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এ দিকে সিপিএসি কনফারেন্সে মিডিয়াকে মার্কিন জনগণের শত্রু আখ্যা দেন ট্রাম্প। অতীতের ধারাবাহিকতায় তিনি বলেন, ‘আপনাদের জানাতে চাই যে সংবাদের নামে চলমান গুজবের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি।’ ট্রাম্প বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমি গণমাধ্যমকে গণশত্রু আখ্যা দিয়েছিলাম। আজো আমি একই কথা বলছি।’ গত সপ্তাহে তিনি টুইটারে লিখেছিলেনÑ ‘গুজব সৃষ্টিকারী গণমাধ্যমগুলো (নিউ ইয়র্ক টাইমস, এনবিসিনিউজ, সিবিএস, সিএনএন) শুধু আমার শত্রু নয়। তারা সমগ্র মার্কিন জনতার শত্রু।’ নিউ ইয়র্ক টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক ডিন ব্যাকেট বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটতে দেখিনি।’ নিউ ইয়র্ক টাইমস ছাড়া বাকিরাও এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়ার প্রশ্নে হোয়াইট হাউজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনও শামিল হয়েছে প্রতিবাদে।

No comments:

Post a Comment