অ্যালার্জির রয়েছে বিভিন্ন রকম ভেদ। ছবি : রিডার্স ডাইজেস্ট
অ্যালার্জিতে অনেকেই আক্রান্ত হন। অ্যালার্জির রয়েছে রকমভেদ। অ্যালার্জির বিভিন্ন ধরন নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।
অ্যানাফাইলেক্সিস
Advertisement
এটি সবচেয়ে ভয়াবহ অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া। রোগ নিরূপণকারী রেডিও কনট্রাস্ট মিডিয়া, কিছু ওষুধ, যেমন: পেনিসিলিন, হেপারিন, আফিম, বিভিন্ন পোকামাকড়, মৌমাছি, সাপের কামড় ইত্যাদিতে যে মারাত্মক অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া হয়, তাতে একজন মানুষের মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। এ ধরনের অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ায় যেসব উপসর্গ দেখা দেয় সেসব হলো : শ্বাসকষ্ট, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বমি, চোখমুখ ফুলে যাওয়া প্রভৃতি।
খাবারজনিত অ্যালার্জি
কারো কারো ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাবার, যেমন : দুধ বা দুধজাত পণ্য, মাছ, গরুর গোশত, ডিম, নারকেল, কচু, পুঁইশাক ইত্যাদি খাওয়ার পর বিভিন্ন উপসর্গ যেমন চোখমুখ ফুলে যাওয়া, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে ফুসকুড়ি, বমি ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। মূলত এসব অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া। আবার জন্মগতভাবে ল্যাক্টোজ জাতীয় খাবারের প্রতি অসহনীয়তা যেকোনো শিশুর দুগ্ধজাত খাবারে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। সাধারণত এটা হয় শিশুকে দ্রুত বড়দের খাবার ও গরুর দুধে অভ্যস্ত করতে চাইলে। তবে দেখা গেছে, যেসব শিশুর ছোটবেলায় দুধ ও দুধজাত খাবারের প্রতি অ্যালার্জি ছিল, তাদের ৬০-৯০ শতাংশ শিশুই চার বছর বয়সে এসব খাবারে ধীরে ধীরে সহনীয় হয়ে পড়েছে।
ওষুধ অ্যালার্জি
সাধারণত এক থেকে তিন শতাংশ ক্ষেত্রে প্রায় সব ওষুধেই অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ওষুধজনিত অ্যালার্জি কখনোই উপেক্ষা করা যাবে না। দেখা গেছে, এ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে প্রতি ১০ হাজারে একজনের মৃত্যু হয়। আমেরিকার বোস্টন কোলাবোরেটিভ ড্রাগ সার্ভিলেন্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পেনিসিলিন ও তার সমগোত্রীয় ওষুধগুলো, সালফোনামাইডস, এনএসএআইডি এবং অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধে সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জি দেখা দেয়। ব্যক্তিবিশেষে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। যেমন : একজন বয়স্ক পুরুষের প্রতিক্রিয়ার হার কম। মহিলাদের প্রতিক্রিয়ার হার তুলনামূলক বেশি। অসুস্থ ব্যক্তিরও অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া বেশি হয়।
অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি
অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকের সর্দিকাশি হতে পারে। সর্দিকাশির সঙ্গে ঘন ঘন হাঁচি। নাক-চোখ চুলকানো, চোখ দিয়ে পানি পড়া প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বংশগত কারণে এটা হতে পারে। সাধারণত নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এ ধরনের অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি থাকে। শীতকালে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। অ্যালার্জির সঙ্গে অনেক সময় হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। সাধারণত বাতাসে ভেসে আসা ধূলিকণা কিংবা পরাগরেণু গ্রহণে এ ধরনের প্রকৃতিগত অ্যালার্জি হয়ে থাকে। জন্মের দুই বছর পর থেকে এ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
ত্বকের অ্যালার্জি
অ্যালার্জেন বা উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে এ ধরনের অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এসব রোগীর চার-পঞ্চমাংশই প্রাথমিক এবং সহজাত উত্তেজক পদার্থ যেসব জৈব দ্রাবক, ধৌতকারক সাবান, ডিটারজেন্ট বা এ ধরনের সামগ্রীর কারণে অ্যালার্জির শিকার হন। যেসব লোক চামড়া, প্রসাধন সামগ্রী কিংবা ধাতববস্তু তৈরির কারখানায় কাজ করে তারাও এ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে।
অ্যাটোপিক অ্যালার্জি
এটা হলো জন্মগত অ্যালার্জি। যেসব শিশু এ ধরনের অ্যালার্জি নিয়ে জন্ম নেয়। দেখা গেছে, পরে তারা অ্যালার্জিজনিত সর্দি ও হাঁপানিতে ভোগে। সাধারণত দুই থেকে আট শতাংশ শিশু জন্মের পর দুই থেকে তিন মাসেই অ্যাটোপিক অ্যালার্জির শিকার হয় এবং শৈশবের তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের এ অবস্থায় কাটে। এরপর তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। উপসর্গ হিসেবে তাদের পুরো শরীরে চুলকানি দেখা যায়। বালিশ বা বিছানার চাদরের ঘর্ষণে মুখে, গালে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে দাগ ও আঠালো ক্ষত দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত খাবার গ্রহণ করলে কিংবা সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারে এ ধরনের অ্যালার্জি আবার দেখা দেয় ও সেটা প্রকট আকার ধারণ করে।
পোকামাকড়জনিত অ্যালার্জি
অনেকেরই মশা, পিঁপড়া প্রভৃতির কামড়ে ত্বকের নির্দিষ্ট অংশে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু এ ছাড়া কিছু কিছু পিঁপড়াগোত্রীয় প্রাণী, মৌমাছি, ভোমরা প্রভৃতির কারণে প্রাণঘাতী অ্যালার্জিজনিত অ্যানাফাইলেক্টিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পোকামাকড়জনিত অ্যালার্জির কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জায়গা ফুলে যাওয়া, সর্দি, চোখের কনজাংটিভার প্রদাহ, এমনকি হাঁপানি দেখা দিতে পারে।
পরিবেশগত অ্যালার্জি
বিভিন্ন ফুলের পরাগরেণু অ্যালার্জির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। রংবৈচিত্র্যহীন ফুলগুলোর পরাগরেণু হালকা থাকে। এগুলো সাধারণত বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায়। বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙিন ফুলগুলো পোকামাকড় ও পাখির মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায় এবং এদের পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত ভারি ও আঠালো ধরনের। এজন্য বাতাসজনিত পরাগরেণুগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে অ্যালার্জির সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে রেগ উইড নামক এক ধরনের গুল্ম বর্ষার সময় অ্যালার্জির প্রকোপ ঘটায়। আমাদের দেশে সরিষা ফুলের ভারি পরাগরেণু পোকামাকড়ের মাধ্যমে এ ধরনের সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। এ ছাড়া পোকামাকড়ের মল, লোমশ প্রাণী যেমন কুকুর-বিড়ালের শরীরের ধুলো প্রভৃতি অ্যালার্জির পেছনে বিরাট ভূমিকা রাখে।
পেশাগত অ্যালার্জি
পেশাগত কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০টি বিভিন্ন প্রাকৃতিক অ্যালার্জিক বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্লাটিনামের এক ধরনের জটিল লবণ আইসো সায়ানাইটিস, অ্যাপোক্সি রেসিন, কলোফনির ধোঁয়া, প্রোটিনধ্বংসী এনজাইম, রসায়নাগারের জন্তুর মলমূত্র, শস্যের ধুলো, প্রাকৃতিক আটা প্রভৃতি। এ ধরনের অ্যালার্জিক পদার্থ কর্মক্ষেত্রে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ঘটায়। যেসব কুলি-মজুর জাহাজের মাল খালাস করে, তারা সাধারণত পেডিকিউলয়েডস ভেন্ট্রিকোসাস নামক এক ধরনের উঁকুনের শিকার হয়। এটি থেকে ত্বকের অ্যালার্জি দেখা দেয়।
দেশজুড়ে সকল বিভাগের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের খোঁজ পেতে ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে ভিজিট করুন www.doctorola.com অথবা কল করুন 16484 নম্বরে। Doctorola.com বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ও কল সেন্টার ভিত্তিক ডাক্তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সার্ভিস।
m.ntvbd.com/health/107999/আপনার-কোন-ধরনের-অ্যালার্জি-হয়
অ্যালার্জিতে অনেকেই আক্রান্ত হন। অ্যালার্জির রয়েছে রকমভেদ। অ্যালার্জির বিভিন্ন ধরন নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।
অ্যানাফাইলেক্সিস
Advertisement
এটি সবচেয়ে ভয়াবহ অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া। রোগ নিরূপণকারী রেডিও কনট্রাস্ট মিডিয়া, কিছু ওষুধ, যেমন: পেনিসিলিন, হেপারিন, আফিম, বিভিন্ন পোকামাকড়, মৌমাছি, সাপের কামড় ইত্যাদিতে যে মারাত্মক অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া হয়, তাতে একজন মানুষের মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে। এ ধরনের অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ায় যেসব উপসর্গ দেখা দেয় সেসব হলো : শ্বাসকষ্ট, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বমি, চোখমুখ ফুলে যাওয়া প্রভৃতি।
খাবারজনিত অ্যালার্জি
কারো কারো ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাবার, যেমন : দুধ বা দুধজাত পণ্য, মাছ, গরুর গোশত, ডিম, নারকেল, কচু, পুঁইশাক ইত্যাদি খাওয়ার পর বিভিন্ন উপসর্গ যেমন চোখমুখ ফুলে যাওয়া, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে ফুসকুড়ি, বমি ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। মূলত এসব অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া। আবার জন্মগতভাবে ল্যাক্টোজ জাতীয় খাবারের প্রতি অসহনীয়তা যেকোনো শিশুর দুগ্ধজাত খাবারে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। সাধারণত এটা হয় শিশুকে দ্রুত বড়দের খাবার ও গরুর দুধে অভ্যস্ত করতে চাইলে। তবে দেখা গেছে, যেসব শিশুর ছোটবেলায় দুধ ও দুধজাত খাবারের প্রতি অ্যালার্জি ছিল, তাদের ৬০-৯০ শতাংশ শিশুই চার বছর বয়সে এসব খাবারে ধীরে ধীরে সহনীয় হয়ে পড়েছে।
ওষুধ অ্যালার্জি
সাধারণত এক থেকে তিন শতাংশ ক্ষেত্রে প্রায় সব ওষুধেই অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ওষুধজনিত অ্যালার্জি কখনোই উপেক্ষা করা যাবে না। দেখা গেছে, এ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে প্রতি ১০ হাজারে একজনের মৃত্যু হয়। আমেরিকার বোস্টন কোলাবোরেটিভ ড্রাগ সার্ভিলেন্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পেনিসিলিন ও তার সমগোত্রীয় ওষুধগুলো, সালফোনামাইডস, এনএসএআইডি এবং অ্যাসপিরিন-জাতীয় ওষুধে সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জি দেখা দেয়। ব্যক্তিবিশেষে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। যেমন : একজন বয়স্ক পুরুষের প্রতিক্রিয়ার হার কম। মহিলাদের প্রতিক্রিয়ার হার তুলনামূলক বেশি। অসুস্থ ব্যক্তিরও অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া বেশি হয়।
অ্যালার্জিজনিত সর্দি-কাশি
অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকের সর্দিকাশি হতে পারে। সর্দিকাশির সঙ্গে ঘন ঘন হাঁচি। নাক-চোখ চুলকানো, চোখ দিয়ে পানি পড়া প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বংশগত কারণে এটা হতে পারে। সাধারণত নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এ ধরনের অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি থাকে। শীতকালে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। অ্যালার্জির সঙ্গে অনেক সময় হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। সাধারণত বাতাসে ভেসে আসা ধূলিকণা কিংবা পরাগরেণু গ্রহণে এ ধরনের প্রকৃতিগত অ্যালার্জি হয়ে থাকে। জন্মের দুই বছর পর থেকে এ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
ত্বকের অ্যালার্জি
অ্যালার্জেন বা উত্তেজক রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে এ ধরনের অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এসব রোগীর চার-পঞ্চমাংশই প্রাথমিক এবং সহজাত উত্তেজক পদার্থ যেসব জৈব দ্রাবক, ধৌতকারক সাবান, ডিটারজেন্ট বা এ ধরনের সামগ্রীর কারণে অ্যালার্জির শিকার হন। যেসব লোক চামড়া, প্রসাধন সামগ্রী কিংবা ধাতববস্তু তৈরির কারখানায় কাজ করে তারাও এ ধরনের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হতে পারে।
অ্যাটোপিক অ্যালার্জি
এটা হলো জন্মগত অ্যালার্জি। যেসব শিশু এ ধরনের অ্যালার্জি নিয়ে জন্ম নেয়। দেখা গেছে, পরে তারা অ্যালার্জিজনিত সর্দি ও হাঁপানিতে ভোগে। সাধারণত দুই থেকে আট শতাংশ শিশু জন্মের পর দুই থেকে তিন মাসেই অ্যাটোপিক অ্যালার্জির শিকার হয় এবং শৈশবের তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের এ অবস্থায় কাটে। এরপর তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। উপসর্গ হিসেবে তাদের পুরো শরীরে চুলকানি দেখা যায়। বালিশ বা বিছানার চাদরের ঘর্ষণে মুখে, গালে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে দাগ ও আঠালো ক্ষত দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত খাবার গ্রহণ করলে কিংবা সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহারে এ ধরনের অ্যালার্জি আবার দেখা দেয় ও সেটা প্রকট আকার ধারণ করে।
পোকামাকড়জনিত অ্যালার্জি
অনেকেরই মশা, পিঁপড়া প্রভৃতির কামড়ে ত্বকের নির্দিষ্ট অংশে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু এ ছাড়া কিছু কিছু পিঁপড়াগোত্রীয় প্রাণী, মৌমাছি, ভোমরা প্রভৃতির কারণে প্রাণঘাতী অ্যালার্জিজনিত অ্যানাফাইলেক্টিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পোকামাকড়জনিত অ্যালার্জির কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জায়গা ফুলে যাওয়া, সর্দি, চোখের কনজাংটিভার প্রদাহ, এমনকি হাঁপানি দেখা দিতে পারে।
পরিবেশগত অ্যালার্জি
বিভিন্ন ফুলের পরাগরেণু অ্যালার্জির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। রংবৈচিত্র্যহীন ফুলগুলোর পরাগরেণু হালকা থাকে। এগুলো সাধারণত বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায়। বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙিন ফুলগুলো পোকামাকড় ও পাখির মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায় এবং এদের পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত ভারি ও আঠালো ধরনের। এজন্য বাতাসজনিত পরাগরেণুগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে অ্যালার্জির সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে রেগ উইড নামক এক ধরনের গুল্ম বর্ষার সময় অ্যালার্জির প্রকোপ ঘটায়। আমাদের দেশে সরিষা ফুলের ভারি পরাগরেণু পোকামাকড়ের মাধ্যমে এ ধরনের সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। এ ছাড়া পোকামাকড়ের মল, লোমশ প্রাণী যেমন কুকুর-বিড়ালের শরীরের ধুলো প্রভৃতি অ্যালার্জির পেছনে বিরাট ভূমিকা রাখে।
পেশাগত অ্যালার্জি
পেশাগত কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০টি বিভিন্ন প্রাকৃতিক অ্যালার্জিক বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে প্লাটিনামের এক ধরনের জটিল লবণ আইসো সায়ানাইটিস, অ্যাপোক্সি রেসিন, কলোফনির ধোঁয়া, প্রোটিনধ্বংসী এনজাইম, রসায়নাগারের জন্তুর মলমূত্র, শস্যের ধুলো, প্রাকৃতিক আটা প্রভৃতি। এ ধরনের অ্যালার্জিক পদার্থ কর্মক্ষেত্রে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ঘটায়। যেসব কুলি-মজুর জাহাজের মাল খালাস করে, তারা সাধারণত পেডিকিউলয়েডস ভেন্ট্রিকোসাস নামক এক ধরনের উঁকুনের শিকার হয়। এটি থেকে ত্বকের অ্যালার্জি দেখা দেয়।
দেশজুড়ে সকল বিভাগের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের খোঁজ পেতে ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে ভিজিট করুন www.doctorola.com অথবা কল করুন 16484 নম্বরে। Doctorola.com বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ও কল সেন্টার ভিত্তিক ডাক্তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সার্ভিস।
m.ntvbd.com/health/107999/আপনার-কোন-ধরনের-অ্যালার্জি-হয়
No comments:
Post a Comment