নিজের ওপর ভয়াবহ হামলার বর্ণনা দিলেন খাদিজা আক্তার। একই সাথে আদালতের কাছে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করলেন তিনি। এসময় আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বদরুল আলম বলতে থাকেন, ‘আমার ফাঁসি হোক, তারপরও খাদিজা তুমি ভালো থেকো। তোমার ভালো হোক।’
রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন খাদিজা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারায় আসামি শনাক্ত করা হয়। এরপর মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ১ মার্চ তারিখ ধার্য করে আদালত।
নিজের ওপর ভয়াবহ হামলার বর্ণনা দিয়ে আদালতে খাদিজা আক্তার নার্গিস বলেন, ‘৩ অক্টোবর বিকেল ৫টায় এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আমি আমার বান্ধবি রূপমার সঙ্গে হাঁটার সময় হঠাৎ বদরুল গরু কাটার চাপাতি হাতে নিয়ে আমার হাত ধরে জোর করে টেনে কলেজের পুকুরের পূর্বপাড়ে নিয়ে যায়।
এরপর আসামি বদরুল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারলে প্রথমে বাম হাত ও পরে দুই হাত দিয়ে চারটি কোপ ঠেকাই। বদরুল আমার মাথায় অসংখ্যবার কোপ মারলে আমার বাম কানের উপরের অংশ কেটে যায় এবং নিচের অংশে আঘাত লাগে। এরপর বাম পায়ের হাটুতে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
খাদিজা আরও বলেন, আমার শরীরের যে যে স্থানে আসামি আঘাত করেছে, সেসব জায়গায় দাগ আছে। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিকে শনাক্ত করে খাদিজা বলেন, আমি আসামি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সে আমাকে সারা জীবনের জন্য প্রতিবন্ধী করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বদরুল আলম বলতে থাকেন, ‘আমার ফাঁসি হোক, তারপরও খাদিজা তুমি ভালো থেকো। তোমার ভালো হোক।’ তখন বিচারক বদরুলকে কোনো কথা বলতে নিষেধ করেন।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী খাদিজাকে জেরা করেন। জেরায় খাদিজা বলেন, আসামি ৫-৬ বছর আগে আমাদের বাড়িতে আমার ছোটভাইকে পড়াত।
এ সময় বদরুলের সঙ্গে খদিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি-না জানতে চান আইনজীবী। জবাবে খাদিজা বলেন, এ কথা সত্য নয়।
রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন খাদিজা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারায় আসামি শনাক্ত করা হয়। এরপর মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ১ মার্চ তারিখ ধার্য করে আদালত।
নিজের ওপর ভয়াবহ হামলার বর্ণনা দিয়ে আদালতে খাদিজা আক্তার নার্গিস বলেন, ‘৩ অক্টোবর বিকেল ৫টায় এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আমি আমার বান্ধবি রূপমার সঙ্গে হাঁটার সময় হঠাৎ বদরুল গরু কাটার চাপাতি হাতে নিয়ে আমার হাত ধরে জোর করে টেনে কলেজের পুকুরের পূর্বপাড়ে নিয়ে যায়।
এরপর আসামি বদরুল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে আমার মাথায় কোপ মারলে প্রথমে বাম হাত ও পরে দুই হাত দিয়ে চারটি কোপ ঠেকাই। বদরুল আমার মাথায় অসংখ্যবার কোপ মারলে আমার বাম কানের উপরের অংশ কেটে যায় এবং নিচের অংশে আঘাত লাগে। এরপর বাম পায়ের হাটুতে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।
খাদিজা আরও বলেন, আমার শরীরের যে যে স্থানে আসামি আঘাত করেছে, সেসব জায়গায় দাগ আছে। আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিকে শনাক্ত করে খাদিজা বলেন, আমি আসামি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সে আমাকে সারা জীবনের জন্য প্রতিবন্ধী করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বদরুল আলম বলতে থাকেন, ‘আমার ফাঁসি হোক, তারপরও খাদিজা তুমি ভালো থেকো। তোমার ভালো হোক।’ তখন বিচারক বদরুলকে কোনো কথা বলতে নিষেধ করেন।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী খাদিজাকে জেরা করেন। জেরায় খাদিজা বলেন, আসামি ৫-৬ বছর আগে আমাদের বাড়িতে আমার ছোটভাইকে পড়াত।
এ সময় বদরুলের সঙ্গে খদিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি-না জানতে চান আইনজীবী। জবাবে খাদিজা বলেন, এ কথা সত্য নয়।
No comments:
Post a Comment