Latest Post

কওমীর স্বীকৃতি ও দেবিমূর্তি বিরোধী বক্তব্য আর রাজনৈতিক স্বার্থের ভেল্কিবাজি: মুহাম্মাদ মামুনুল হক

ঢাকা ১৩ই এপ্রিল'১৭ আজকের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম দেখে মনে পড়ছে দুই হাজার ছয়ের কথা ৷ যখন হযরত শায়খুল হাদীস রহঃএর দলের...

Saturday, February 25, 2017

মাকামে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

আল্লামা আবূ সাবের আব্দুল্লাহ দা.বা.


হিদায়েত লাভের জন্য কুরআন হাদীছ মানা যেমন জরুরী তেমনি কুরআন হাদীছের ব্যাখ্যা হিসাবে সাহাবীগণের মতামত ও কর্ম, তাবেঈ ও তাবে তাবেয়ীগণের মতামত এবং দ্বীনের ইমাম ও উলামায়ে কেরামের মতামত লক্ষ্য রাখাও জরুরী। দীনের সহীহ ব্যাখ্যা, সমজ, বুঝ এবং রুচি প্রকৃতি রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সাহাবায়ে কেরাম তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীন হয়ে নিরবিচ্ছিন্ন সূত্র ও কর্মের শ্রোতধারার মাধ্যমে পরবর্তীদের নিকট পৌঁছেছে। কাজেই যারা সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী ও আয়েম্মায়ে দীন এবং প্রাজ্ঞ উলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যাকে উপেক্ষা করে কুরআন হাদীস বোঝার চেষ্টা করে তাদের গোমরাহী অনিবার্য। এই মূলনীতি লংঘন করার কারণে ইসলামের ইতিহাসে খারিজী, শিয়া, বাতিনী এবং কাদিয়ানী ইত্যাদি বাতিল ফেরকা জন্ম লাভ করে।
কুরআন কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
ﻓَﺈِﻥْ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺑِﻤِﺜْﻞِ ﻣَﺎ ﺁﻣَﻨْﺘُﻢْ ﺑِﻪِ ﻓَﻘَﺪِ ﺍﻫْﺘَﺪَﻭْﺍ ﻭَﺇِﻥْ ﺗَﻮَﻟَّﻮْﺍ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﻫُﻢْ ﻓِﻲ ﺷِﻘَﺎﻕٍ
অতঃপর তারা যদি সে রকম ঈমান আনে যেমন তোমরা (সাহাবীরা) ঈমান এনেছ তবে তারা সঠিক পথ পেয়ে যাবে। আর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তারা মূলত শত্রুতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। বাকারা:১৩৭
বুঝা গেল সাহাবায়ে কেরাম পরবর্তী সকলের ঈমান আমলের মাপকাঠি।
ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﺑِﻘُﻮﻥَ ﺍﻟْﺄَﻭَّﻟُﻮﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﻬَﺎﺟِﺮِﻳﻦَ ﻭَﺍﻟْﺄَﻧْﺼَﺎﺭِ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺍﺗَّﺒَﻌُﻮﻫُﻢْ ﺑِﺈِﺣْﺴَﺎﻥٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻢْ ﻭَﺭَﺿُﻮﺍ ﻋَﻨْﻪُ ﻭَﺃَﻋَﺪَّ ﻟَﻬُﻢْ ﺟَﻨَّﺎﺕٍ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﺗَﺤْﺘَﻬَﺎ ﺍﻟْﺄَﻧْﻬَﺎﺭُ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟْﻔَﻮْﺯُ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথমে ঈমান এনেছে এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করেছে আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আল্লাহ তাদের জন্য এমন উদ্যানরাজি তৈরী করে রেখেছেন যার তলদেশে নহর বহমান। তাতে তারা সর্বদা থাকবে। এটাই মহা সাফল্য। তাওবা :১০০
ﻳﺎ ﺍﻳﻬﺎ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ ﺍﻃﻴﻌﻮﺍ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻃﻴﻌﻮﺍ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻭﺍﻭﻟﻰ ﺍﻻﻣﺮ ﻣﻨﻜﻢ
হে মুমিনগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, তাঁর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা ইখতেয়ারধারী (শাসক, আলেম, ফকীহ) তাদেরও। আলে ইমরান :৫৯
ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﺸَﺎﻗِﻖِ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﺗَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻬُﺪَﻯ ﻭَﻳَﺘَّﺒِﻊْ ﻏَﻴْﺮَ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻧُﻮَﻟِّﻪِ ﻣَﺎ ﺗَﻮَﻟَّﻰ ﻭَﻧُﺼْﻠِﻪِ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﻭَﺳَﺎﺀَﺕْ ﻣَﺼِﻴﺮًﺍ
যে কেউ রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে তাদের কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সকল মু‘মিনের অনুসৃত পথের (আলেমদের ইজমার) বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ওই দিকেই ফেরাব যেদিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান। সূরা নিসা:১১৫
হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে
ﺇﻧﻪ ﻣﻦ ﻳﻌﺶ ﻣﻨﻜﻢ ﻓﺴﻴﺮﻯ ﺍﺧﺘﻼﻓﺎ ﻛﺜﻴﺮﺍ، ﻓﻌﻠﻴﻜﻢ ﺑﺴﻨﺘﻰ ﻭﺳﻨﺔ ﺍﻟﺨﻠﻔﺎﺀ ﺍﻟﺮﺍﺷﺪﻳﻦ ﺍﻟﻤﻬﺪﻳﻴﻦ ﺗﻤﺴﻜﻮﺍ ﺑﻬﺎ ﻭﻋﻀﻮﺍ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﺟﺬ، ﻭﺇﻳﺎﻛﻢ ﻭﻣﺤﺪﺛﺎﺕ ﺍﻻﻣﻮﺭ ﻓﺈﻥ ﻛﻞ ﻣﺤﺪﺛﺔ ﺑﺪﻋﺔ ﻭﻛﻞ ﺑﺪﻋﺔ ﺿﻼﻟﺔ .
মনে রেখো, আমার পরে তোমাদের যারা জীবিত থাকবে তারা বহু মতানৈক্য দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নত ও আমার হেদায়েতপ্রাপ্ত খলীফাগণের সুন্নতকে আকড়ে রাখবে। একে অবলম্বন করবে এবং মাড়ির দাঁত দিয়ে প্রাণপণ করে কামড়ে রাখবে। এবং তোমরা (ধর্মীয় বিষয়ের) নব আবিস্কৃত বিষয়াদি থেকে খুব সতর্কতার সাথে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রতিটি নব আবিস্কৃত বিষয় বেদআত। আর প্রতিটি বেদআত হল গোমরাহী। সুনানে আবু দাউদ: ৪৬০৭ জামে তিরমিযী ২৬৭৬.
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ‏( ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﺠﻤﻊ ﺃﻣﺘﻰ - ﺃﻭ ﻗﺎﻝ ﺃﻣﺔ ﻣﺤﻤﺪ – ﻋﻠﻰ ﺿﻼﻟﺔ ، ﻭﻳﺪﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ، ﻭﻣﻦ ﺷﺬ ﺷﺬ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻨﺎﺭ ) .
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ আমার উম্মতকে কিংবা বলেছেন মুহাম্মদ (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উম্মতকে গোমরাহীর উপর ঐক্যবদ্ধ করবেন না। আল্লাহর হাত রয়েছে জামাআর উপর। যে বিচ্ছিন্ন হয় সে জাহান্নাম অভিমুখে বিচ্ছিন্ন হয়। জামে তিরমিযী:২৩০৫
হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত আছে-
ﺗﻔﺘﺮﻕ ﺃﻣﺘﻲ ﻋﻠﻰ ﺛﻼﺙ ﻭﺳﺒﻌﻴﻦ ﻣﻠﺔ ﻛﻠﻬﻢ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ ﺇﻻ ﻣﻠﺔ ﻭﺍﺣﺪﺓ ﻗﺎﻟﻮﺍ : ﻣﻦ ﻫﻲ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ؟ ﻗﺎﻝ ﻣﺎ ﺃﻧﺎ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻲ
অর্থাৎ ইমাম খুরাইবী রহ.বলেন, অজ্ঞ বা হিংসুক ছাড়া আর কেউ ইমাম আবু হানীফা সম্পর্কে কটুক্তি করবে না। তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের ওপর ওয়াজিব তাদের নামাযে ইমাম আবু হানীফার জন্য দুআ করা। (ইমাম বুখারীর খাস উস্তাদ, মুহাদ্দেছ) মক্কী ইবনে ইবরাহীম বলেন, ইমাম আবু হানীফা তার যুগের সবচে বড় আলেম ছিলেন। মানাকিবুল ইমাম আবু হানীফা: ২৭ পৃ.
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺨﺮﻳﺒﻰ : ﻣﺎ ﻳﻘﻊ ﻓﻰ ﺃﺑﻰ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﺍﻻ ﺟﺎﻫﻞ ﺍﻭ ﺣﺎﺳﺪ - ﺍﺑﻮ ﻣﺴﻠﻢ ﺍﻟﻜﺠﻰ ﻋﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺳﻌﺪ ﺍﻟﻜﺎﺗﺐ ﻋﻦ ﺍﻟﺨﺮﻳﺒﻰ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝ : ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻫﻞ ﺍﻻﺳﻼﻡ ﺍﻥ ﻳﺪﻋﻮﺍ ﺍﻟﻠﻪ ﻷﺑﻰ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻓﻰ ﺻﻼﺗﻬﻢ - ﻭﻋﻦ ﻣﻜﻰ ﺑﻦ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻗﺎﻝ : ﻛﺎﻥ ﺍﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﺃﻋﻠﻢ ﺃﻫﻞ ﺯﻣﺎﻧﻪ .
অর্থাৎ ইমাম খুরাইবী রহ.বলেন, অজ্ঞ বা হিংসুক ছাড়া আর কেউ ইমাম আবু হানীফা সম্পর্কে কটুক্তি করবে না। তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের ওপর ওয়াজিব তাদের নামাযে ইমাম আবু হানীফার জন্য দুআ করা। (ইমাম বুখারীর খাস উস্তাদ, মুহাদ্দেছ) মক্কী ইবনে ইবরাহীম বলেন, ইমাম আবু হানীফা তার যুগের সবচে বড় আলেম ছিলেন। মানাকিবুল ইমাম আবু হানীফা: ২৭ পৃ.

No comments:

Post a Comment