সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অবিলম্বে গ্রিক দেবির মূর্তি অপসারণের দাবীতে হেফাজতে ইসলামের পূর্ব ঘোষিত ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট এবং চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ চত্বরে আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, দলে দলে মুসলমানদেরকে ঈমান-আক্বীদা রক্ষার এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে শামিল হতে হবে। আজ (২৩ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মূলতঃ বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর বিজাতীয় কালচার ও শিরকী মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত চলছে। একদিকে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমানী চেতনাবোধ মুছে ফেলে তাদেরকে ভোগবাদের দিকে ঠেলে দেওয়ার বহুমুখী চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী পরিচিতি মুছে বিজাতীয় মতবাদ ও ভোগবাদিতা চাপিয়ে দিতে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা কায়দায় আগ্রাসন চালানো হচ্ছে। নাস্তিক্যবাদি ধ্যানধারণা পোষণ করেন এমন রাজনৈতিক নেতা ও কতিপয় মন্ত্রীরা এখন হক্কানী আলেমদেরকেও ধর্মীয় জ্ঞান দেওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মূলতঃ ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশী-বিদেশী প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও আধিপত্যবাদি শক্তিকে খুশী করতে তাদের কর্পোরেট বাণিজ্যের প্রসার ঘটনোর জন্যই এসব করা হচ্ছে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, প্রাচীন গ্রিক দর্শন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি মৃত মতাদর্শ। বাংলাদেশে তো নয়ই, বরং ভারতীয় উপমহাদেশেও গ্রিক দর্শন চর্চার কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না। অত্র অঞ্চলের কোন অমুসলিম দেশেও গ্রিক দেবি থেমিসের মূর্তি স্থাপন ও ন্যায় বিচারের প্রতীক জ্ঞানের নজির নেই। সেই ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মতো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন করা হল? অথচ এটা একজন সাধারণ মুসলমানও জানেন যে, গ্রিক দেবি থেমিস বা অনুরূপ কোন মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বলে বিশ্বাস করলে কোন মুসলমানের ঈমান আর অবশিষ্ট থাকবে না। এই প্রয়াস বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করে আদর্শিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। তিনি দলমত নির্বিশেষে মুসলমানদেরকে গ্রিক মূর্তি অপসারণের দাবীতে আগামী কাল (২৪ ফেব্রুয়ারী) বাদ জুমা হেফাজতের কর্মসূচীতে সর্বাত্মক শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই কর্মসূচী কোন রাজনৈতিক স্বার্থে বা জাগতিক উদ্দেশ্যে নয়। এটা বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা ও মুসলিম পরিচিতি রক্ষার আন্দোলন।
বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী গত ১৭ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর কর্তৃক সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে স্থাপিত গ্রিক দেবি থেমিস ও হেফাজত প্রসঙ্গে প্রদত্ত বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, হেফাজতের কথায় নয় বরং মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের কথায় মনে হয় এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নয়। তার পুরো বক্তব্যেই স্বৈরচারী ও ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঈমান-আক্বীদার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিজাতীয় দর্শন ও মতবাদ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তিনি প্রজাতান্ত্রিক শাসনে মানুষের প্রতিবাদ জানানোর ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে অস্বীকার করেছেন। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, নাটক-সিনেমায় আপনি সফল অভিনেতা হতে পারেন, কিন্তু মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদা ও ধর্মীয় আনুগত্য নিয়ে অভিনয় করা যায় না। ইসলাম ও ঈমান-আক্বীদা নিয়ে কটূক্তি করে মুসলমানদের মনে আঘাত দিয়ে তাদেরকে বিক্ষুব্ধ করার চেষ্টা করবেন না। আপনার জানা থাকবার কথা যে, মুসলমানগণ ঈমান, আক্বীদা ও ইসলামের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হলেও পিছপা হয় না।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য রেখে কোন মুসলমানেরই গ্রীক মূর্তির পক্ষে কথা বলার সুযোগ নেই। হেফাজত মহাসচিব মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ইসলামের আক্বীদা-বিশ্বাসের প্রতি কতটা আনুগত্য রয়েছে- সেই প্রশ্ন তুলে বলেন, গ্রিক দেবির স্বপক্ষে তার ছাপাই বক্তব্যে এমন সন্দেহের জোরালো কারণ রয়েছে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণ করুন। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে কোন ভাস্কর্য স্থাপন করতে চাইলে পবিত্র কুরআনের অথবা পূর্ব থেকে বিদ্যমান থাকা দাড়ি-পাল্লাকে আরো শৈল্পিকভাবে স্থাপন করা যায়। কিন্তু দেশবাসীর উপর গ্রিক দেবিকে চাপিয়ে দিতে চাইলে সেটা বাংলাদেশের জনগণ কখনোই মেনে নিবে না।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মূলতঃ বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর বিজাতীয় কালচার ও শিরকী মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার গভীর চক্রান্ত চলছে। একদিকে বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমানী চেতনাবোধ মুছে ফেলে তাদেরকে ভোগবাদের দিকে ঠেলে দেওয়ার বহুমুখী চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী পরিচিতি মুছে বিজাতীয় মতবাদ ও ভোগবাদিতা চাপিয়ে দিতে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা কায়দায় আগ্রাসন চালানো হচ্ছে। নাস্তিক্যবাদি ধ্যানধারণা পোষণ করেন এমন রাজনৈতিক নেতা ও কতিপয় মন্ত্রীরা এখন হক্কানী আলেমদেরকেও ধর্মীয় জ্ঞান দেওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মূলতঃ ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশী-বিদেশী প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও আধিপত্যবাদি শক্তিকে খুশী করতে তাদের কর্পোরেট বাণিজ্যের প্রসার ঘটনোর জন্যই এসব করা হচ্ছে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, প্রাচীন গ্রিক দর্শন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি মৃত মতাদর্শ। বাংলাদেশে তো নয়ই, বরং ভারতীয় উপমহাদেশেও গ্রিক দর্শন চর্চার কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না। অত্র অঞ্চলের কোন অমুসলিম দেশেও গ্রিক দেবি থেমিসের মূর্তি স্থাপন ও ন্যায় বিচারের প্রতীক জ্ঞানের নজির নেই। সেই ক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মতো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন করা হল? অথচ এটা একজন সাধারণ মুসলমানও জানেন যে, গ্রিক দেবি থেমিস বা অনুরূপ কোন মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বলে বিশ্বাস করলে কোন মুসলমানের ঈমান আর অবশিষ্ট থাকবে না। এই প্রয়াস বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করে আদর্শিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। তিনি দলমত নির্বিশেষে মুসলমানদেরকে গ্রিক মূর্তি অপসারণের দাবীতে আগামী কাল (২৪ ফেব্রুয়ারী) বাদ জুমা হেফাজতের কর্মসূচীতে সর্বাত্মক শরীক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই কর্মসূচী কোন রাজনৈতিক স্বার্থে বা জাগতিক উদ্দেশ্যে নয়। এটা বাংলাদেশের মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা ও মুসলিম পরিচিতি রক্ষার আন্দোলন।
বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী গত ১৭ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের একটি অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর কর্তৃক সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে স্থাপিত গ্রিক দেবি থেমিস ও হেফাজত প্রসঙ্গে প্রদত্ত বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, হেফাজতের কথায় নয় বরং মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের কথায় মনে হয় এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নয়। তার পুরো বক্তব্যেই স্বৈরচারী ও ফ্যাসিবাদী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তিনি ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঈমান-আক্বীদার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিজাতীয় দর্শন ও মতবাদ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তিনি প্রজাতান্ত্রিক শাসনে মানুষের প্রতিবাদ জানানোর ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে অস্বীকার করেছেন। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, নাটক-সিনেমায় আপনি সফল অভিনেতা হতে পারেন, কিন্তু মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদা ও ধর্মীয় আনুগত্য নিয়ে অভিনয় করা যায় না। ইসলাম ও ঈমান-আক্বীদা নিয়ে কটূক্তি করে মুসলমানদের মনে আঘাত দিয়ে তাদেরকে বিক্ষুব্ধ করার চেষ্টা করবেন না। আপনার জানা থাকবার কথা যে, মুসলমানগণ ঈমান, আক্বীদা ও ইসলামের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হলেও পিছপা হয় না।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য রেখে কোন মুসলমানেরই গ্রীক মূর্তির পক্ষে কথা বলার সুযোগ নেই। হেফাজত মহাসচিব মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের ইসলামের আক্বীদা-বিশ্বাসের প্রতি কতটা আনুগত্য রয়েছে- সেই প্রশ্ন তুলে বলেন, গ্রিক দেবির স্বপক্ষে তার ছাপাই বক্তব্যে এমন সন্দেহের জোরালো কারণ রয়েছে।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণ করুন। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে কোন ভাস্কর্য স্থাপন করতে চাইলে পবিত্র কুরআনের অথবা পূর্ব থেকে বিদ্যমান থাকা দাড়ি-পাল্লাকে আরো শৈল্পিকভাবে স্থাপন করা যায়। কিন্তু দেশবাসীর উপর গ্রিক দেবিকে চাপিয়ে দিতে চাইলে সেটা বাংলাদেশের জনগণ কখনোই মেনে নিবে না।
No comments:
Post a Comment