আমরা বাতাসকে যদি না দেখে বিশ্বাস করতে পারি, তাহলে বাতাসের স্রষ্টাকে কেন না দেখে বিশ্বাস করতে পারবো না? হয়ত যুক্তি দেখাবেন বাতাসকে অনুভব করা যায়। যদি কোন কিছু অনুভব করা গেলেই বিশ্বাস করা যায়, তাহলে স্রষ্টাকে কেন বিশ্বাস করবেন না? এমন অসংখ্য বিষয় রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। আমরা জানি মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে, কিন্তু এমনও অনেক জীব আছে, যারা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের দূর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প ইত্যাদির আলামত পূর্ব থেকে জানতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০০৪ সালের সুনামিতে যেখানে ল ল আদম সন্তান প্রাণ হারায় সেখানে অন্যান্য জীবজন্তুর মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। আমি যদি আপনাদের প্রশ্ন করি, ‘কে তাদেরকে পূর্ব থেকে এই সুনামির কথা জানিয়ে দিয়েছে?’ উত্তরে আপনারা বলবেন, ‘তাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ই তাদেরকে পূর্ব থেকে সুনামির কথা জানিয়েছে’। আমি অবাক হবো। বলবো, ‘ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়! এটা আবার কি? আপনারা আমাকে এটার কি প্রমাণ দেখাতে পারবেন?’ আপনাদের তখন মন্তব্য হবে,‘এটা বিশ্বাসের বিষয়, এবং এটাই সত্য’। আমি বলবো, ‘হ্যাঁ, ঠিক তেমনি স্রষ্টাও বিশ্বাসের বিষয় এবং স্রষ্টাই সত্য।
No comments:
Post a Comment