নাসা থেকে প্রকাশিত নতুন সাত গ্রহের কাল্পনিক চিত্র : ইন্টারন
সৌর জগতের নিকটবর্তী একটি নত্রকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর মতো অন্তত সাতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন্য উপযুক্ত।
বিজ্ঞানীদের নতুন এ আবিষ্কার গত বুধবার জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে নাসার সদরদফতরে সংবাদ সম্মেলনেও এ ঘোষণা দেয়া হয়। পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন্য উপযুক্ত। গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের
জ্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, ‘এবারই প্রথমবারের মতো একই নত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে।’
অতি শীতল ুদ্রাকৃতির ওই নত্রের নাম দেয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ নত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গঠনের; সেগুলো বৃহস্পতির মতো গ্যাসীয় নয়; বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে।
টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি নামে তিনটি গ্রহ তথাকথিত ‘বাসযোগ্য এলাকায়’ এবং সেগুলোতে মহাসাগরও থাকতে পারে। ‘বাসযোগ্য এলাকা’ বলতে কোনো নত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে।
গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবে সঠিক অ্যাটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসসহ এটা প্রাণের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, ‘আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা খুঁজে বের করার েেত্র আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি। আমি মনে করি এর আগে কখনো আমাদের এমন কোনো গ্রহ আবিষ্কারের ছিল না যেখানে প্রাণ আছে কি না তা খুঁজে দেখার মতো। এখানে যদি কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকে এবং গ্যাস নিঃসরণ করে, যেমনটি আমরা পৃথিবীতে করি, তাহলে আমরা তা জানব।’
গত বুধবার রাতে নাসার ওই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ঘোষণার সাথে সাথে ডুডল পরিবর্তন করে ফেলেছে গুগল। নতুন আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। সেখানে দেখানো হচ্ছে সুন্দর একটি অ্যানিমেশন। ছোট্ট দূরবীনে চোখ রেখেছে স্বয়ং পৃথিবী। সাথে একটু উকিঝুঁকি মারছে চাঁদও। হঠাৎ হাসিমুখে সামনে চলে এসেছে পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহ।
এ দিকে নাসা জানিয়েছে, নতুন গ্রহগুলোতে প্রাণ আছে কি নাÑ তা বোঝা যাবে গ্রহগুলোর আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে গবেষণার পর। তবে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানী সারা সিগার বলেন, ‘গ্রহ সন্ধানের ইতিহাস বলছে, যদি একটি গ্রহ আবিষ্কার হয়, তাহলে সেখানে আরো বহু গ্রহ থাকবে।’ তিনি জানান, ২০১৮ সালেই নাসা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ আনছে। এর মাধ্যমেই গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডলে কী রয়েছে, তা জানা যাবে। যদি বায়ুমণ্ডলে ওজোন, অক্সিজেন বা মিথেনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রাণের সন্ধান থাকার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। নাসার গবেষক থমাস জুরবুচেনের মতে, এই আবিষ্কার থেকে একটা ইঙ্গিত স্পষ্টÑ দ্বিতীয় পৃথিবী রয়েছে।
সূত্র : সিএনএন
সৌর জগতের নিকটবর্তী একটি নত্রকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর মতো অন্তত সাতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন্য উপযুক্ত।
বিজ্ঞানীদের নতুন এ আবিষ্কার গত বুধবার জার্নাল ন্যাচারে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে নাসার সদরদফতরে সংবাদ সম্মেলনেও এ ঘোষণা দেয়া হয়। পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন্য উপযুক্ত। গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের
জ্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, ‘এবারই প্রথমবারের মতো একই নত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে।’
অতি শীতল ুদ্রাকৃতির ওই নত্রের নাম দেয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ নত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গঠনের; সেগুলো বৃহস্পতির মতো গ্যাসীয় নয়; বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে।
টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি নামে তিনটি গ্রহ তথাকথিত ‘বাসযোগ্য এলাকায়’ এবং সেগুলোতে মহাসাগরও থাকতে পারে। ‘বাসযোগ্য এলাকা’ বলতে কোনো নত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে।
গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবে সঠিক অ্যাটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসসহ এটা প্রাণের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, ‘আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা খুঁজে বের করার েেত্র আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি। আমি মনে করি এর আগে কখনো আমাদের এমন কোনো গ্রহ আবিষ্কারের ছিল না যেখানে প্রাণ আছে কি না তা খুঁজে দেখার মতো। এখানে যদি কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকে এবং গ্যাস নিঃসরণ করে, যেমনটি আমরা পৃথিবীতে করি, তাহলে আমরা তা জানব।’
গত বুধবার রাতে নাসার ওই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি ঘোষণার সাথে সাথে ডুডল পরিবর্তন করে ফেলেছে গুগল। নতুন আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। সেখানে দেখানো হচ্ছে সুন্দর একটি অ্যানিমেশন। ছোট্ট দূরবীনে চোখ রেখেছে স্বয়ং পৃথিবী। সাথে একটু উকিঝুঁকি মারছে চাঁদও। হঠাৎ হাসিমুখে সামনে চলে এসেছে পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহ।
এ দিকে নাসা জানিয়েছে, নতুন গ্রহগুলোতে প্রাণ আছে কি নাÑ তা বোঝা যাবে গ্রহগুলোর আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে গবেষণার পর। তবে প্রাণ থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানী সারা সিগার বলেন, ‘গ্রহ সন্ধানের ইতিহাস বলছে, যদি একটি গ্রহ আবিষ্কার হয়, তাহলে সেখানে আরো বহু গ্রহ থাকবে।’ তিনি জানান, ২০১৮ সালেই নাসা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ আনছে। এর মাধ্যমেই গ্রহগুলোর বায়ুমণ্ডলে কী রয়েছে, তা জানা যাবে। যদি বায়ুমণ্ডলে ওজোন, অক্সিজেন বা মিথেনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রাণের সন্ধান থাকার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। নাসার গবেষক থমাস জুরবুচেনের মতে, এই আবিষ্কার থেকে একটা ইঙ্গিত স্পষ্টÑ দ্বিতীয় পৃথিবী রয়েছে।
সূত্র : সিএনএন
No comments:
Post a Comment